ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া বলেন, 'এ জাতীয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান নেই। ধরাটাই অপরাধ। গত দুই দিনে বেশ কয়েকজন রাসেল'স ভাইপার সাপ নিয়ে আমাদের কাছে আসে এবং প্রাপ্তি স্বীকারপত্র চায়।'
তিনি বলেন, 'আমি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দিতে পারি না। রবিবার দুপুর পর্যন্ত তিনজন পুরস্কারের আশায় বন বিভাগে রাসেল'স ভাইপার জমা দেয়ার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আমরা বিপদে পড়েছি।'
ফরিদপুরে জীবিত একটি রাসেল'স ভাইপার ধরেছেন আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার বাসিন্দা মনোরুদ্দিন খানের ছেলে কৃষক রেজাউল খান। শনিবার রাত ৮টার দিকে সাপটি নিয়ে আসা হয় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে।
গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুর কোতোয়ালি এরিয়ার মধ্যে জীবিত রাসেল'স ভাইপার ধরতে পারলে ৫০ হাজার করে টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ।
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
কৃষক রেজাউল খান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার ফসলি জমিতে চাষ করার সময় রাসেল'স ভাইপার সাপ দেখতে পান। পরে সেটিকে অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে ভরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে আটকে রাখেন।
তিনি বলেন, 'স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন জানিয়েছেন সাপটি বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যেতে হবে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সাপ নিয়ে বন বিভাগে গেলে তারা সেটি নেয় না এবং প্রাপ্তি স্বীকার পত্রও দেয় না।'