টানা তৃতীয়বারে মতো সরকার গঠনের পর শপথ অনুষ্ঠানে গত ৯ জুন বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের নবনির্বাচিত সরকারপ্রধান। সেই সফরের ১০ দিন পর এবার দেশটির আমন্ত্রণে দু'দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে গিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ভারতের রাজধানীর নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে ফ্লাইটটি দুপুর ২টা ৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
এবারের সফরে দু'দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। যেখানে গুরুত্ব পাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, যোগাযোগ ও জ্বালানিসহ নানা বিষয়। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন চুক্তি, সীমান্ত হত্যা পুরোপুরি বন্ধের মতো বিষয়গুলো আলোচনায় তুলবে বাংলাদেশ।
তবে এ সফরের সবচেয়ে আলোচনায় থাকবে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প। ২০১১ সাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সাথে দেনদরবার করেও সুফল মেলেনি। তখন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে চীন। বলা হয়, বাংলাদেশ অংশে একটি বহুমুখী ব্যারেজ নির্মাণের মাধ্যমে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমবে, পাশাপাশি শত শত একর জমি পুনরুদ্ধার হবে যা কাজে লাগানো যাবে কৃষি কিংবা শিল্পায়নে।
তবে নতুন দুই সরকার প্রধানের রাজনৈতিক ইচ্ছা এগিয়ে নিতে পারে প্রতিবেশি দেশ দু'টির সম্পর্কের উষ্ণতা।