দেশে এখন
0

রাত পেরোলেই ঈদ; ভিড় কমেছে টার্মিনালে, হাটে পশুর চেয়ে ক্রেতা বেশি

রাত পেরোলেই ঈদ। পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে ঢাকাসহ শহর ছেড়েছেন নগরবাসী। ঈদের কয়েক ঘণ্টা বাকি থাকলেও এখনো অবশ্য কেউ কেউ রাজধানী ছাড়ছেন। তবে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে রাজধানীর পশুহাটগুলোয়। যদিও গাবতলী পশুহাট ছাড়া অন্যান্য হাটে বিক্রিবাট্টার কাজ অনেকটা শেষ করে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার সকাল থেকেই রাজধানীর টার্মিনালগুলোয় ভিড় দেখা যায় কম। শেষ মুহূর্তে চাপ কম ছিল বাস-লঞ্চেও। কিছু ট্রেন ছেড়েছে বিলম্বে। তবে মহাসড়কে স্বস্তি ছিল দিনভর।

রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন ৪ ঘণ্টা বিলম্ব করে। বেলা আড়াইটার দিকে ট্রেনটি ছাড়ার কথা থাকলেও এটি ছেড়ে যায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। যাত্রীদের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। যাত্রীরা অনলাইনে যাত্রা বাতিল করে টাকা ফেরত নিতে পারবেন বলেও জানানো হয়।

সন্ধ্যার পর গাবতলী, শ্যামলী, কল্যাণপুর, সায়েদাবাদ কিংবা মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রীচাপ কম রয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন পরিবহন কর্তৃপক্ষ। তবে এই সময়ে কিছুটা ভিড় ছিল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।

বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ছেড়ে গেছে ৫৭টি লঞ্চ। আর সদরঘাট টার্মিনালে এসেছে ৭২টি লঞ্চ।

এদিকে ঈদের আগে কোরবানির পশু কেনার শেষ দিন আজ। রাজধানীর বেশিরভাগ হাটে কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি শেষ পর্যায়ে। চাহিদা বেশি ছোট ও মাঝারি গরুর।

সরজমিনে দেখা যায়, চাহিদা বেশি থাকায় শেষ সময়ে এসে সংকট সৃষ্টি হয়েছে মাঝারি আকারের গরুর। তবে চাহিদা বিবেচনায় কিছু ছোট ও মাঝারি আকারের গরু ঢুকছে ঢাকায়।

হাটে পশু আনা খামারি ও ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানীর হাটগুলোয় বেশিরভাগ গরুই বিক্রি হয়ে গেছে। তবে এখনও কেউ কেউ অপেক্ষায় রয়েছেন দাম কমার। লাভের আশায় কিছু গরু ধরে রেখেছেন মালিক ও খামারিরা।

পশুর হাটগুলোয় ১ থেকে ২ লাখ টাকা মূল্যের দেশি গরুর প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি। কয়েকদিনের ব্যবধানে বেড়েছে এসব গরুর দাম।

আসু

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর