দেশে এখন
0

দিনের তুলনায় রাতে পশুর দাম তুলনামূলক কম

ঈদের বাকি আর একদিন। তাই কোরবানির পশুর হাটে সবারই চেষ্টা সাধ আর সাধ্যের সমীকরণ মিলিয়ে নিজের পছন্দের পশুটি খুঁজে নেয়া। তবে কেউ কেউ এখনও আছেন দাম কমার আশায়। ক্রেতারা বলছেন, গতবারের চেয়ে দাম বেশি। তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ অনেক বিক্রেতা।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু এসেছে রাজধানীর হাটগুলোতে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাক আর দর কষাকষিতে এসব হাটে চলছে পশু বিক্রি।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে ক্রেতা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাটে ভিড় বাড়ে কয়েকগুণ। তবে ক্রেতা বাড়লেও সেই তুলনায় বিক্রি কম পশুর হাটে। পাশাপাশি হাটের ব্যবস্থাপনা নিয়েও এবারও রয়েছে নানা অভিযোগ।

এক বিক্রেতা বলেন, 'এবছর যে আশা করে আসছিলাম তা পূরণ হয় নাই। আমরা ক্ষতির মুখেই আছি। আগের মতো কাস্টমার নাই। সব গরু এখনো বিক্রি করতে পারি নাই।'

শনিবার হাটে আশানুরূপ ক্রেতা না থাকলেও রবিবার সেটি বাড়বে বলছেন পশু ব্যবসায়ীরা। যদিও কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসায় শেষ দিনের অপেক্ষা না করেই হাটে ছুটে এসেছেন অনেক ক্রেতা। এবার ২ লাখ বা এর কম দামের পশুর প্রতি ঝোঁক বেশি ক্রেতাদের। তবে দাম নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এদিকে সন্ধ্যার পর হাটে আসতে দেখা গেছে অনেক ক্রেতাকে। দিনের ভিড় আর গরম থেকে রক্ষা পেতে যারা সন্ধ্যার পর হাটে এসেছেন তারা বেশ কম দামে পশু কিনতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।

ক্রেতারা বলেন, দাম অনেক বেশি। বিক্রেতারা দাম কমাতে চায় না। তবে দিনে গরুর দাম অনেক, আর রাতে দাম একটু কম পাওয়া যায়। রাত্রে বিক্রি বেশি হচ্ছে।

এবার রাজধানীতে স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে দুই সিটিতে পশুর হাট বসেছে ২০টি। যার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯টি।