মাগুরাবাসীর কাছে স্বপ্নের প্রকল্প মধুখালী থেকে মাগুরা রেলপথ। এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে সহজ হবে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ, ভোগান্তি কমবে স্থানীয়দের। তবে নানা জটিলতায় প্রকল্পের কাজ চলছে শামুকের গতিতে।
২০১৮ সালের ২৯ মে প্রায় ২শ' কোটির এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কথা ছিল কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যেই। তবে জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, রেলপথ ও সেতু নির্মাণে ধীরগতির কারণে ৩ দফা পিছিয়েছে মেয়াদ। সবশেষ চলতি বছরের ৩০ জুন এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, এ হিসেবে হাতে মাত্র ১ মাস থাকলেও, এখনও প্রকল্পের কাজ বাকি প্রায় অর্ধেক।
স্থানীয় একজন বলেন, 'আমাদের জমি ২০১৮ সালে অধিগ্রহণ করা হলেও ২০২৪ সালে এসেও আমরা জমির টাকা পায়নি।'
আরেকজন বলেন, '২৭শ’ লোকের এখন পর্যন্ত একজনের টাকাও দেয়নি। অনেক আশ্বাস দিলেও কোনো কিছু হচ্ছে না।'
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারের কাছে জমির ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তারা। তাদের দাবি, বর্তমানে প্রতি শতাংশ জমির দাম ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা হলেও তাদের দেয়া হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা দরে। এতে জমি দেয়ার প্রতি অনীহা তাদের।
আরেকজন বলেন, 'রেলমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন যেন আমাদের জমির ন্যায্যমূল্য দেয়।'
প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন চন্দনা ও গড়াই সেতুর কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আর ২৭টি কালভার্টের মধ্যে নির্মাণ হয়েছে ১৬টি। বাকি ১১টির কাজ আটকে আছে জমি না পাওয়ায়। এ ছাড়া পুরো পথে চলছে ২০টি লেভেলক্রসিং গেট তৈরির কাজ। আর সব মিলিয়ে সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫০.৩৯ শতাংশ।
রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, 'অগ্রগতি দেখার জন্য আমরা এখানে এসেছি এবং এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সাথে মিটিং হবে।'
প্রকল্প অনুযায়ী, মাগুরা জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় যুক্ত করতে মোট ২৩.১০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে মূল রেললাইন ১৯ কিলোমিটার ও লুপ লাইন ৪.১০ কিলোমিটার। এ ছাড়া এ রেল প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পরপর তা ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার কথা রয়েছে।