শুধু একটি উৎসব নয়, কোরবানি এ শহরের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্থ প্রবাহের উপলক্ষ্যও। সরকারি একটি হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর কোরবানিকে কেন্দ্র করে এই ঢাকায় পশু কোরবানি হয় ২৫ লাখের মতো। বেচাকেনার জন্য অস্থায়ী যেসব হাট বসে তাতে অর্থপ্রবাহের পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে কোরবানির বাজার ৭৫ হাজার কোটি টাকার কম নয়।
উৎসবকে কেন্দ্র করে এই মহাযজ্ঞ সামাল দিতেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ মে) পর্যালোচনা সভা হয়েছে। এখানে মেয়র ও মন্ত্রী জানান, এবারে সবকিছু যাতে শৃঙ্খলার সঙ্গে হয় সেজন্য তারা আগ থেকেই সক্রিয় আছেন। যেমন ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলী ও আমিনবাজারে সড়কের ওপরে কোনো হাট বসতে দেবে না সিটি করপোরেশন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, 'সড়ক ও মহাসড়কের ওপর বা তার পাশে কোরবানির পশুর হাট ইজারা প্রদান না করা এবং মৌসুমি ফলের বাজারসহ যেকোনো ধরনের অস্থায়ী বাজার দোকান বসানো থেকে বিরত থাকতে হবে।'
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পশু ব্যবসায়ীরা যেন সঠিক নিরাপত্তা পান এর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ভূমিকা, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতিসহ নানা দিক তুলে ধরা হয় এ বৈঠকে। জানানো হয়, কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, '২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির সকল প্রকার বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির স্থান পরিষ্কার করতে হবে।'
সভায় ডেঙ্গু ও ঈদ জামাত নিয়েও আলোচনা হয়। জানানো হয়, বৃষ্টির কারণে যেন জাতীয় ঈদগাহে ঈদ জামাত ব্যাহত না হয় সেজন্য প্রতিবারের মত এবারও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।