আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ মে) ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন সরকার প্রধান। হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে বেলা ১১ টার দিকে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পৌঁছান, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মজাহার উদ্দিন কলেজ মাঠে। যেখানে তীব্র গরম উপেক্ষা করে সকাল থেকেই অপেক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত, অসহায় উপকূলবাসী।
ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা-ঘাট ও বাঁধ শিগগিরই মেরামত করে দেয়া হবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভাঙা বাড়ি ঘর মেরামত ও নির্মাণ করে দেয়া হবে।
দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের কৃষি উপকরণ দেয়া হবে। কৃষকরা নতুন উদ্যোমে চাষাবাদ করতে পারবেন।
রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ নির্মাণের ফলে উপকূলে যোগাযোগ সহজে হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো দুর্যোগ মোকাবেলায় ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন সরকার প্রধান।
রোববার সন্ধ্যায় উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। টানা দু'দিনের তাণ্ডবে বিলীন হয় ঘরবাড়ি, প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিক্ষেত-খামার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সড়কপথ। সবকিছু হারিয়ে অসহায় দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষ।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত জেলা পটুয়াখালী। এ জেলায় প্লাবিত হয়েছে ৯ হাজার পুকুর, হাজারও ঘের। বেড়িবাঁধ ভেঙে বিধ্বস্ত হয় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি।