পটুয়াখালী সদর উপজেলার পাঙ্গাশিয়া চান্দখালী গ্রামের বেল্লাল জোমাদ্দার ফার্মে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজা করতে ব্যস্ত খামারিরা। খামারটির আয়ের একটি অন্যতম উৎস এবারের ঈদ-উল-আজহা।
জেলায় খামারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় খামার এটি। ঈদের জন্য এখানে দুই শতাধিক গরু প্রস্তুত করা হচ্ছে। দেড় লাখ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে তিন লাখ টাকার বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে খামারটিতে। ভারত থেকে গরু আমদানি না হলে কোটি টাকা আয়ের আশা করছেন খামারিরা।
একজন খামারি বলেন, ‘খৈল, কুটা, ভূষি, ভুট্টা দিয়েই আমরা গরু লালন-পালন করি। আমার খামারে সর্বনিম্ন দেড় লাখ টাকার গরু আছে। এর উপরে আড়াই লাখ ও ৩ লাখ টাকার গরু আছে।’
এবার ভারত থেকে গরু আমদানি করা হবে না বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক সরদার। এতে খামারিরা গরুর ন্যায্য দাম পাবে বলে আশাবাদী তিনি।
ফজলুল হক সরদার বলন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও ১১ হাজার ২১টি প্রাণী উদ্বৃত্ত হবে। দাম এখনও আমাদের ভালো এবং আশা করছি ভালো দাম থাকবে। আর বিদেশে থেকে তো সরকারিভাবে কোনো গরু আসবে না। যে কারণে খামারিরা লাভজনক পর্যায়ে থাকবে।'
জেলায় মোট ৬৯০টি ছোট-বড় গরুর খামারে আসন্ন কোরাবানি উপলক্ষে এবার ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৪১টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যার সম্ভাব্য বাজারমূল্য ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা।