দেশে এখন
0

এমভি আবদুল্লাহ পাড়ি দিয়েছে দীর্ঘ সাত হাজার নটিক্যাল মাইল পথ

আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাত হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর, দূরত্ব প্রায় সাত হাজার নটিক্যাল মাইল। দীর্ঘ এ পথে জিম্মি দশাসহ নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে দেশে পৌঁছালো এমভি আবদুল্লাহ।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আরব আমিরাত যাত্রা করেছিল এমভি আবদুল্লাহ। ৩ হাজার ৭০০ নটিক্যাল মাইল ভারত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে এটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে আসার কথা। কিন্তু ১২ মার্চ সোমালিয়ান উপকূলে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি নিয়ে যাওয়া হয় জলদস্যুদের ডেরায়। জিম্মি হয়ে পড়েন ২৩ নাবিক।

এর কয়েকদিন পরই মুক্তিপণ দাবি করে সোমালি জলদস্যুরা। নানা দেন-দরবারের পর গত ১৩ এপ্রিল হেলিকপ্টারে করে মুক্তিপণের টাকা ফেলা হয় সাগরে। সেখানে স্পিডবোটে এসে ৫০ লাখ ডলার বুঝে নেয় জলদস্যুরা। প্রায় এক মাস পর জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ। স্বস্তি ফিরে নাবিকদের পরিবারসহ সবার মাঝে।

১৪ এপ্রিল ভোরে জাহাজের ২৩ নাবিক ভিডিও বার্তায় জানান তারা সবাই সুস্থ আছেন। জাহাজটিও ভালো অবস্থায় আছে। মুক্তির পর তারা রওনা দেন আরব আমিরাতের উদ্দেশে। ৭ দিন পর ২১ এপ্রিল পৌঁছায় দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে।

হামরিয়ায় কয়লা খালাসের পর আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দরে যায় জাহাজটি। সেখান থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন এমভি আবদুল্লাহ'র ২৩ নাবিক। এ পথের দূরত্বও প্রায় ৩ হাজার নটিক্যাল মাইল।

অবশেষে দীর্ঘ এ পথ পাড়ি দিয়ে ১৫ দিন পর সোমবার ( ১৩ মে) বিকেলে কুতুবদিয়া নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। শেষ হয় প্রতীক্ষার প্রহর।

১৯৯৬ সালে জাপানে তৈরি হয় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ। ২০১৬ সালে কিনে নেয় কেএসআরএম। নতুন নাম দেয়া হয় এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটির দৈঘ্য প্রায় ১৮৯ মিটার দীর্ঘ, প্রস্থ ৩২ মিটার। ২৮ বছর পুরনো এ জাহাজটি প্রতি বছরে গড়ে ৫৪ হাজার নটিক্যাল মাইল পথ পাড়ি দেয়। 

ইএ