রামপুরা উলন, বনশ্রী ও আফতাবনগরের কিছু অংশ মিলে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৩ নম্বর ওয়ার্ড। আর এসব এলাকার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে বনশ্রী খাল। এ খালের ওপরে কয়েকটি বাঁশের সাঁকো গড়ে উঠেছে। যা দিয়ে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন। তবে এ খালটিই মশার লার্ভা জন্ম নেয়ার অন্যতম স্থান হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালে পানির স্রোত নেই। বিভিন্ন জায়গায় কচুরিপানা ও ময়লা জমে আছে। সেখানেই কিউলেক্স মশার লার্ভা দেখা যাচ্ছে, আর এতেই অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বলেন, ‘বৃষ্টি হলে ডোবাগুলো ভরে যায়। আর এতে মশার উপদ্রব বাড়ে। খালগুলোতে পানি জমে মশার পরিমাণ বাড়ছে।’
একই এলাকায় অসংখ্য নির্মাণাধীন ভবনের পাশাপাশি অনেক প্লট খালি পড়ে আছে। যেখানে জমে আছে বৃষ্টির পানি, কিছু প্লট যেন জঙ্গলে রূপান্তরিত হয়েছে।
এদিকে দিনের বেলায় বাইরে থাকা গেলেও সন্ধ্যার পর কঠিন হয়ে পড়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হলেও তা খুব একটা কার্যকর নয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তারা বলেন, ‘দিনের বেলাতে খুব বেশি মশা থাকে না। সন্ধ্যা থেকে উপদ্রব বাড়ে, তখন থাকা কষ্ট হয়ে যায়। সিটি করপোরেশন প্রতিদিনই মশার ওষুধ ছিটাচ্ছে তবুও মশা কমছে না।’
গত বছর ডেঙ্গুতে রেকর্ড পরিমাণ মানুষের মৃত্যু হয়। তবে কীটতত্ত্ববিদরা আশঙ্কা করছেন, এ বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহতা হবে সবচেয়ে বেশি। তবে সে পরিমাণে দুই সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ নগরবাসীর।