দেশে এখন
0

গরমকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় বস্তির মানুষ

তীব্র গরমে মানুষ যখন স্বস্তির খোঁজে বৈদ্যুতিক পাখা কিংবা এসির ঘর খুঁজছেন, তখন সেই গরমকেই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন বস্তিবাসী। তীব্র তাপপ্রবাহে চট্টগ্রাম শহরের ৬০০ বস্তির প্রায় ১৪ লাখ মানুষের দুর্ভোগ চরমে। টিনের ঘর হওয়ায় গরমের অনুভূতি অনেকটা বেশি। বাড়ছে গরমজনিত রোগ, কাজে যেতে পারছেন না দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ।

১০০ফুট আয়তনের টিনের ঘরের ভেতর একটিমাত্র চৌকি। ঘরে ঢোকার জন্য একটি দরজা থাকলেও নেই কোনো জানালা ও বৈদ্যুতিক পাখা। চট্টগ্রামের ষোলশহর বস্তির ছোট্ট এই ঘরে স্ত্রী সন্তানসহ ৭ সদস্য নিয়ে ৭০ বছর বয়সী শাহজাহানের বসবাস। ঘরের ভেতরে প্রচণ্ড গরমের কারণে বাইরের গলিতেই স্বস্তি খুঁজে বেরান তিনি। একই অবস্থা অধিকাংশ বস্তিবাসীর। রেললাইন কিংবা আশপাশের ছায়া শীতল জায়গায় যেন এই মুহূর্তে তাদের প্রশান্তির স্থান।

বেসরকারি এক সংস্থার তথ্যমতে চট্টগ্রাম শহরে বস্তির সংখ্যা ৬০০ এর কাছাকাছি। যার ৫০ শতাংশের বেশি টিন এবং প্লাস্টিকের তৈরি। যা তাপ নিরোধক নয় এবং একইসাথে বায়ু চলাচলের সহায়ক না। রয়েছে বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা। তীব্র এই গরমে মানুষ যখন একটু প্রশান্তির জন্য ফ্যানের নিচে যাওযার চেষ্টা করে সেখানে এই বস্তির মানুষগুলো এই গরমকে নিজেদের শরীরের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া ভোগান্তি বাড়িয়েছে বস্তিবাসীর। বাড়ছে গরম জনিত রোগব্যাধি।

স্থানীয় একজন, 'ঘরের ভিতর তো গরম। এখানে বাইরে একটু বাতাস আছে, সেজন্য এখানে এসে বসেছি। রাতে হরমের জন্য ঘুমানো যায় না।'

তীব্র গরমে কাজে যেতে পারছেন না বস্তিতে বসবাসকারী দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। যে কয়জন কাজে যাচ্ছেন তারাও দীর্ঘসময় কাজ করতে পারছেন না।

একজন দিনমজুর বলেন, 'গরমের কারণে কোনো কাজ করতে পারছি না। কোনো কাজে গেলে অল্প কাজ করে আর করতে পারি না, চলে আসি। একদিন কাজ করলে আরেকদিন কাজ করতে পারছি না।'

চট্টগ্রাম শহরে ৪১টি ওয়ার্ডের ছোট-বড় ৬০০ বস্তিতে বসবাস করে ১৪ লাখের বেশি মানুষ।

এসএস