দেশে এখন
কোভিডে বন্ধ হওয়া কসবা সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেই
কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পর অধিকাংশ সীমান্ত হাট চালু হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট এখনও বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ ৪ বছরেও হাটটি চালু না হওয়ায় ক্ষতির মুখে হাটের ব্যবসায়ীরা। কবে নাগাদ হাট খুলবে সে সম্পর্কে তথ্য নেই ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে। তবে হাট কমিটির দাবি, বাণিজ্যে সমতা না থাকায় হাটটি বাংলাদেশের জন্য 'অলাভজনক'।

করোনার সংক্রমণ রোধে ২০২০ সালের মার্চে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ৪ বছরের বেশি সময় কেটে গেছে। স্বাভাবিক হয়েছে জীবনযাত্রা তবুও করোনার ছুটিতেই বন্ধ আছে এই হাট।

যদিও দেশের অন্য সীমান্ত হাটগুলোর বেশিরভাগই আরও আগেই খুলে দেয়া হয়েছে। তবে কসবা সীমান্ত হাট বাংলাদেশের জন্য লাভজনক না হওয়ায় এটি পুনরায় চালুর ব্যাপারে জোর উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের।

ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন হাট বন্ধ থাকায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পাওনা আদায় করতে পারছেন না বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এই হাট সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য হলেও অধিকাংশ ক্রেতাই বাইরের। এসব ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই বাণিজ্যে সমতা আসবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘হাট খোলার বিষয়ে কোন উদ্যোগ দেখি না। আমাদের পাওনা টাকাও আদায় করতে পারছি না। এতে করে দিন দিন আমরা ক্রেতাও হারিয়ে ফেলেছি।’

কসবা সীমান্ত হাট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ সরকার অতুল বলেন, ‘এই হাটটি দ্রুত খুলে দেয়া উচিত। আর হাটটি চালু হলে আমাদের ব্যবসায়ীরা আবার ব্যবসা করতে পারবেন।’

হাট বন্ধের আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রায় ২৭ লাখ টাকা, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রায় ৩৮ লাখ এবং ফেব্রয়ারি মাসে প্রায় ২৩ লাখ টাকার বাংলাদেশি পণ্য কেনাবেচা হয়। এর বিপরীতে ভারতীয় পণ্য দ্বিগুণের বেশি কেনাবেচা হয়েছে।

এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় হাটের দোকানসহ অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গেল বছর ক্ষতিগ্রস্ত কিছু অবকাঠামো সংস্কার করে সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। তবে এটি চালুর বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানান কমিটির সভাপতি জেসমিন সুলতানা।

সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের যৌথ উদ্যোগে ২০১৫ সালের জুনে কসবার তারাপুর এবং ত্রিপুরার কমলাসাগর সীমান্তে এই হাটের যাত্রা শুরু হয়। এতে দু'দেশের ৫০টি করে মোট ১০০টি দোকান রয়েছে। হাটে বাংলাদেশি পণ্যগুলোর মধ্যে কাপড়, প্লাস্টিক ও লৌহজাত পণ্য বেশি বেচাকেনা হতো।

এওয়াইএইচ