দেশে এখন
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে আহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি
রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে সাভার ও জুরাইন কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে স্বজন ও বিভিন্ন সংগঠন। এসময় মানববন্ধন থেকে দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়। এছাড়া দ্রুত মামলার নিষ্পত্তিসহ যথাযথ ক্ষতিপূরণ চান আহতরা।

রানা প্লাজা ধসের দুঃসহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারেননি স্বজন হারানো মানুষ। তীব্র যন্ত্রণা আর ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন আহতরা।

দেশের ইতিহাসে মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার স্মরণে সাভারের রানা প্লাজার সামনে ভিড় করেন অনেকে। অস্থায়ী শহিদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসন ও সর্বস্তরের মানুষ।

নিহতদের স্বজনরা বলেন, ‘আমরা তো বিচার পাইনি। নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিলে আমরা শান্তি পেতাম। আর এ ঘটনায় আমরা দোষীদের উপযুক্ত বিচার চাই।’

পরে আহতদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসহ ক্ষতিপূরণের দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে সব মহলকে সতর্ক থাকার আহ্বান শ্রমিক নেতাদের।

গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, ‘প্রচলিত আইনে এ ঘটনার বিচার হবে না, এটি প্রমাণ হয়ে গেছে। এজন্য আইনের সংশোধন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে দোষীদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

অন্যদিকে জুরাইন কবরস্থানে নিহতদের স্মরণে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এর আগে, সেখানে মানববন্ধন করে বিভিন্ন সংগঠন। এতো বড় অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় ভবন ধসে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর বিচার কি হলো? ১১ বছর পরে আর কত বছর অপেক্ষা করতে হবে, সে প্রশ্ন ছিলো সবার।

উল্লেখ্য, জুরাইন কবরস্থানে বেওয়ারিশ ২৯১টি মরদেহ দাফন করা হয়। কিছু মরদেহের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও অধিকাংশই শনাক্ত হয়নি।

এওয়াইএইচ