প্রতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে দেশে চলে হৈচৈ, মৃত্যুর মিছিল বাড়ে। কিন্তু কমে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এখনও ডেঙ্গু চোখ না রাঙালেও ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টি হলেই বাড়বে রোগটি। কিন্তু ডেঙ্গু মোকাবিলায় ওয়ার্ডগুলো প্রস্তুত তো, নাগরিকরাই কতটা সচেতন বা দায়িত্বশীল?
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ড, কিন্তু এই দুটি ওয়ার্ড পাশাপাশি হলেও মশক নিধনের চিত্র প্রায় একই। অধিকাংশ সময়ই ছিটানো হয় না মশার ওষুধ। আবার মাঝেমধ্যে দিলেও মশার প্রকোপ কমে না।
বাসিন্দারা বলেন, ‘মশার ওষুধ কোনো কোনো জায়গায় দেয়, আবার কোথাও দেয় না। এই এলাকায় মশার এতো উৎপাত যে ২৪ ঘণ্টা দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হয়। বাচ্চারাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।’
এসব এলাকার নাগরিকরা কতটা সচেতন? যদিও তারা বলছেন নিজের আঙিনা পরিষ্কার রাখেন। কিন্তু ওয়ার্ড দুটোর মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া মান্ডা খালেই দেখা গেল বিপুল পরিমাণে ময়লা ফেলছেন বাসিন্দারা। বাসায় রাখা টবেও পানি জমার ঝুঁকি রয়েছে। গত বছর এই ওয়ার্ড দুটিতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর বলছেন, প্রতিদিন ৭ জন সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মচারী লার্ভি সাইডিং ও ফগার মেশিনের মাধ্যমে স্প্রে করেন। তার দাবি, আগের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আছে।
৭২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল আলম শামীম বলেন, ‘আমাদের মশক কর্মীদের এলাকা ভাগ করে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের সেভাবে কাজ শুরু হয়েছে।’
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘আপাতত ডেঙ্গুর প্রকোপ তেমন দেখা না গেলেও গত বছরের তুলনায় এপ্রিলে ডেঙ্গু রোগী বেশি। তাই এখনই সতর্ক থাকা জরুরি।
২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড দেখে দেশ। তাই প্রকোপ শুরুর আগেই সতর্ক থাকার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।