দেশে এখন
0

রাজশাহীতে হয়ে গেলো সর্বজনীন পেনশন মেলা

রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা বেশ সাড়া ফেলেছে। উন্মুক্ত বিভিন্ন স্কিম নিয়ে জানতে প্রথমদিনই মেলায় উপচেপড়া ভিড় ছিলো। শুরুর দিন বেসরকারি চাকরিজীবীরা সবচেয়ে বেশি স্কিম খুলেছেন। সরকারের এ আর্থিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সবার কাছে পৌঁছে দিতে প্রচার আরও বাড়ানো হবে বলছেন কর্মকর্তারা।

ব্যানার-ফেস্টুন আর নানান লিফলেটে সাজানো হয় সারি সারি স্টল। সেসব স্টলে তপ্ত রোদের মাঝেও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের ভিড় ছিলো। নিজের পেশা, আয় আর সামর্থ্য অনুয়ায়ী কে কিভাবে কোন সর্বজনীন স্কিমের আওতাভুক্ত হতে পারবেন সে প্রশ্নই ছিলো সবার।

শেষ বয়সে সরকারি চাকরি না করেও সরকারের আওতায় পেনশন পাওয়া নিয়ে স্বস্তি ছিলো তরুণ, শিক্ষার্থী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মধ্যে।

তরুণরা বলেন, শিক্ষার্থী হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারি কিনা, সে জন্যই আসা। এসে দেখলাম আমাদের একটা সুযোগ আছে। চাকুরিজীবী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সমতার পরিকল্পনাটা অনেক ভালো লেগেছে।

এছাড়া মেলার আয়োজকদের আশ্বাসে আশ্বস্ত হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে সমতা স্কিমের টাকার পরিমাণ আরও কমানোর দাবি অনেকের।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আপনারা যুক্ত হলে জীবনের শেষ সময়টুকু নির্দ্বিধায় কাটাতে পারবেন। এ গ্যারান্টি আমরা দিতে পারি ইনশাআল্লাহ।’

মেলা শুরুর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম খুলতে ভিড় বাড়ে ব্যাংকের স্টলগুলোয়। স্টল কর্তৃপক্ষ বলেন, দেশের সর্বস্তরের মানুষ কিন্তু এ স্কিমের আওতায় আসবে। বিশেষ করে, তরুণদের এর আওতায় আসা খুব জরুরি।

সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার কাজী আসফিয়া শারমীন বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মক সহায়তা করবো। ব্যাংকে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসলেই তাদেরকে অ্যাকাউন্ট খুলে দিবো।’

রাজশাহী থেকে শুরু হওয়া সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমের এমন প্রচারণায় সন্তোষ জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, ‘জেলা-উপজেলার কোটি কোটি মানুষ এ পেনশনের আওতায় চলে আসবে। সেজন্য আমরা কিছু কর্মসূচি নিয়েছি। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করেছি। আশা করি সফল হবো।’

শুক্রবার বেলা ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগীয় পেনশন মেলায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম ভুক্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।