মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আইন লংঘনের মামলায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছিলেন ড. ইউনূস। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, নতুন বছরে কোনো শঙ্কা ও অশান্তি না থাকুক এটাই প্রত্যাশা। সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গঠনে তরুণদের এগিয়ে আসতেও আহবান জানান তিনি।
এদিন শ্রম আপিল ট্রাইবুনালে জামিন বর্ধিত করণের আবেদন করেন আসামিরা। দু’পক্ষের আইনজীবিদের শুনানি শেষে শ্রম আপিল ট্রাইবুলের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এম এ আওয়াল জামিন বাড়ানোর আদেশসহ আপিলের শুনানির জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করেন।
আদালত জানিয়েছে, বিদেশ যেতে কোনো বাধা নেই ড. ইউনূসের। আদালতকে অবহিত করে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জামিন বর্ধিত করা হলো।
ড. ইউনুসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। আর মামলার বাদী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ১১ মার্চ ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন আদালত। সেদিন লিখিত আদেশে বলা হয়, ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ড. ইউনূস জামিনে থাকবেন।
এরপর গত ১৮ মার্চ রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এক রায়ে সাজা স্থগিতের আদেশ বাতিল ঘোষণা করে বলে, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চারজনকে দেওয়া দোষী সাব্যস্তকরণ আদেশ কার্যকর থাকবে। যতক্ষণ তারা জামিনে থাকবেন তাদের সাজা ও অর্থদণ্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত থাকবে।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা এবং গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূস, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে চারজনের আপিল ২৮ জানুয়ারি শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাদের জামিন দেয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত শ্রম আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের রায় স্থগিত করে ট্রাইব্যুনাল। রায় স্থগিতের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ওই আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ ও এর বৈধতা নিয়ে রুল দেয় হাইকোর্ট।