দেশে এখন
0

উত্তরাঞ্চলের মহাসড়কে ভোগান্তিমুক্ত ঈদযাত্রার আশা

উত্তরাঞ্চলের মহাসড়কে প্রতিবছর ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দীর্ঘ যানজটে পড়তে হয় যাত্রীদের। তবে এবার এই চিত্র অতীতের সব হিসেব-নিকেশ পাল্টে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গোলচত্বর থেকে বগুড়া পর্যন্ত চারলেনের কাজ শেষ ৮৫ ভাগ। সেইসঙ্গে খুলে দেয়া হয়েছে বেশকটি আন্ডারপাস ও ফ্লাইওভার।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক। স্বাভাবিক সময়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২ জেলার অন্তত ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদের আগে এই সংখ্যা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। প্রতিবছর ঈদে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের।

কিন্তু এবার এই মহাসড়কের অবকাঠামোগত চিত্র একেবারে ভিন্ন। সাসেক ২ প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে বগুড়া পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৬ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণের কাজ শেষ হয়েছে ৮৫ শতাংশ। পাশাপাশি এ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ কড্ডা, মুলিবাড়ি, নলকা ও পাঁচলিয়া মোড়ে খুলে দেয়া হয়েছে নবনির্মিত আন্ডারপাস ও ফ্লাইওভার। যানজট ছাড়াই স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করতে পারবে পরিবহন।

যাত্রী ও চালকরা বলেন, এবার ঈদে যানজটের সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ ফোরলেনের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এই রাস্তার কারণে যানজট থাকবে না। প্রশাসন যদি তৎপর থাকে তাহলে সবাই সুন্দরভাবে ঈদ করতে পারবে।

সড়ক বিভাগ বলছে, ঈদ ঘিরে আগে থেকেই পরিকল্পনা মাফিক মহাসড়কের কাজ করা হয়েছে। পাশাপাশি এলেংগা থেকে সিরাজগঞ্জ অংশে এবার ঈদযাত্রায় চার লেন ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, 'কাজের গতি অনেক ভালো। এবার ভোগান্তি থাকবে না বলে আশা রাখছি। জামালপুর জেলায় আমাদের একটা কাজ বাকি।'

অতিরিক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তায় মহাসড়কে মোতায়েন থাকবে ৭ শতাধিক পুলিশ সদস্য। এছাড়াও দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আনিসুর রহমান।

তিনি বলেন, 'ঈদের সময় মহাসড়কগুলোতে আমরা থ্রি হুইলার, নসিমন, ভটভটি কোনটাই চলতে দিবো না। যদি কেউ ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়, তাহলে সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'