দেশে এখন
0

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির চেষ্টা

বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাধা দেয়ায় হামলার শিকার হন ২ আনসার সদস্যসহ ৫ নিরাপত্তাকর্মী। বিদ্যুৎকেন্দ্রের দামি জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতে প্রায়ই এ ধরনের হামলার চেষ্টা ঘটে বলে জানান নিরাপত্তা কর্মীরা। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার ( ৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের গেটে হঠাৎ সশস্ত্র ডাকাত দল আক্রমণ করে। নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীদের বাধা উপেক্ষা করে ভবনে ঢোকার চেষ্টা চালায়। অর্ধশতাধিক দুর্বৃত্তের চতুর্মুখী হামলা ঠেকাতে বেগ পেতে হয় নিরাপত্তা কর্মীদের। একপর্যায়ে বেশ কয়েকজনকে ওয়াচ টাওয়ারে আটকে রাখে। পরে স্টোর রুমে রাখা অকেজো যন্ত্রপাতিসহ মূল্যবান ধাতব জিনিসপত্র লুটের চেষ্টা করে। দামী এসব জিনিসের লোভে প্রায়ই হামলার পায়তারা করে দুর্বৃত্তরা।

নিরাপত্তা কর্মীরা বলেন,  'আমরা ছিলাম সাতজনের মতো। আমরা বিভিন্নভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমরা পারিনি। আমাদের দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন কিছু দিয়ে আঘাত করেছে।'

ঘটনার একপর্যায়ে গুলি ছোড়ে আনসার সদস্যরা। এ সময় পিছু হটে তারা। দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হন ২ আনসার সদস্যসহ ৫ নিরাপত্তা কর্মী। তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে নেয়া হয়।

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল আমিন সজিব বলেন, 'তাদের শরীরে সাধারণ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর দুইজনকে খুলনা মেডিকেলে রেফার করেছি তাদের মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।'

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ জনকে আটক করে পুলিশ।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, 'এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তারা ডাকাতির উদ্দেশে আসছিল। এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কতৃপক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'

২০১০ সালে ভারত -বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লি. এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বরের উৎপাদনে যায় ১৩২০ মেগাওয়াটের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট এবং প্রায় ১০ মাসের মাথায় চালু হয় ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিট।

ইএ