এ ধরনের ঘটনার কোন গোয়েন্দা পূর্বাভাস ছিল না উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, এটাকে তুচ্ছ করে দেখছে না সরকার। বলেন, এ ঘটনার তদন্ত হবে, যে বা যারা জড়িত থাকুক, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, হঠাৎ করে অশান্ত হয়েছে বান্দরবান। এটা হঠাৎ করে হলেও পরিকল্পনামাফিক হয়েছে। এই ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীও সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের মধ্যে হঠাৎ করে লোক ঢুকে যাওয়াও সাধারণ ব্যাপার না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হঠাৎ করে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় আগুনের ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ফিল্মি কায়দায় হামলা চালিয়ে টাকা লুট করে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। আগের রাতের এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
রাতে ৭০ থেকে ৮০ জনের সশস্ত্র সদস্য সোনালী ব্যাংকের পাহারারত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে ব্যাংকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় ভল্ট ভেঙে টাকা নেয়ার চেষ্টা করে তারা। ডাকাতি শেষে, ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে জেলায় সোনালী ব্যাংকের প্রায় সব শাখায় লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।