ঈদকে সামনে রেখে কোথাও চলছে ঝালাই বা ইঞ্জিন মেরামতের কাজ। কোথাও আবার তৈরি হচ্ছে নতুন অবকাঠামো। বাসগুলোকে যাত্রী পরিবহনের উপযোগী করে তুলছেন নাটোরের ওয়ার্কশপ শ্রমিকরা।
এবার ২৫ রমজানের পর শুরু হবে ঈদযাত্রা। এরইমধ্যে টিকিট বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে। তাই পুরানো বাস সংস্কারে ব্যস্ততা তুঙ্গে ওয়ার্কশপে।
বাস মালিকরা জানান, রমজান মাসে তাদের ব্যবসা কম হয়। তাই গাড়ির টুকটাক কাজ থাকলে সেটা সেরে নেন।
এসব বাসে রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্তের অন্তত ৬০ থেকে ৭০ হাজার যাত্রী পরিবহন হবে। তবে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্স ছাড়া চালক বিষয়ে কঠোর অবস্থানে সমিতি।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি প্রশান্ত কুমার পোদ্দার বলেন, 'যাদের লাইসেন্স নাই তারা কেন গাড়ি চালাবে। যদি শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের কার্ড দেয় তাহলে বাতিল করা হবে। সার্বিক বিষয়টা আমরা দেখবো।'
নাটোরের ১০০ কিলোমিটার মহাসড়কে দিনে চলছে ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন। ঈদ এলে বাড়ে যার সংখ্যা ও দুর্ঘটনা। তাই ফিটনেসবিহীন ও অতিরিক্ত গতির যানবাহনের বিরুদ্ধে তৎপরতার কথা জানালেন ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজিদুর রহমান। বলেন, 'চলাচলের অনুপযোগী গাড়ির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত ছিল এবং থাকবে।'
মহাসড়কগুলোতে প্রশাসনের পাশাপাশি মালিক সমিতির নজরদারি অব্যাহত থাকলে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবে সাধারণ মানুষ। আর ঈদের একসপ্তাহে জেলার পরিবহন খাতে অন্তত কয়েক কোটি টাকা ব্যবসার আশা।