দেশে এখন

সিরাজগঞ্জে রমজানে ৬-৭ কোটি টাকার মাঠা বিক্রির আশা

সিরাজগঞ্জের সলপের ঐতিহ্যবাহী ঘোল ও মাঠা স্বাদে অনন্য। রমজানে যার চাহিদা তুঙ্গে। সুলভমূল্য ও সুস্বাদু হওয়ায় জেলার বাইরেও রয়েছে এর চাহিদা। এখানকার ১৫টি দোকানে দৈনিক ৫শ' থেকে ৭শ' মণ ঘোল ও মাঠা বিক্রি হয়। যার আনুমানিক দাম ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।

এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ঘোল ও মাঠার খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে ক্রেতা এলেও রমজানে চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় ঘোল ও মাঠা তৈরির প্রক্রিয়া। আশপাশের গ্রাম থেকে গরুর দুধ সংগ্রহের পর চড়ানো হয় উনুনে। নির্দিষ্ট সময় জাল দেয়ার পর রাখা হয় রাতভর। সকালে জমে থাকা দুধের সঙ্গে চিনি ও অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি হয় ঘোল ও মাঠা।

উৎপাদনকারীরা জানান, সারাবছরের তুলনায় রমজানে আমাদের খুব চাপ বাড়ে। তাই আমাদের লোকজন বাড়তি করা হয়। দুধের উপরের অংশটা দিয়ে ঘি এবং নিচের অংশটা দিয়ে ঘোল-মাঠা তৈরি করি।

সলপ রেলওয়ে স্টেশন ঘিরে এ ব্যবসা গড়ে ওঠায় এটি 'সলপের ঘোল' নামেই পরিচিত। এখানকার ছোট-বড় ১৫টি দোকানে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ৫শ' থেকে ৭শ' মণ ঘোল-মাঠা। প্রতি লিটার ঘোলের দাম ১০০ টাকা আর মাঠা বিক্রি হয় ১২০ টাকায়।

স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় সিরাজগঞ্জের পাশাপাশি সরবরাহ হয় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। যার বাজারমূল্য ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এবার রমজানে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকার লেনদেন হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।

সলপ ঘোল মাঠা ও দই ঘরের স্বত্বাধিকারী হাফিজুল ইসলাম খাঁন বলেন, '২০০ থেকে ২৫০ মণ ঘোল-মাঠা প্রত্যেক দিন আমরা সারাদেশে পাইকারিভাবে বিক্রি করি। আর খুচরা বিক্রি তো আছেই।'

সলপ ঘোল ও দই ঘরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মালেক খাঁন বলেন, 'সব দোকান মিলে সারা রমজানে আমাদের অনুযায়ী ৫-৭ কোটি টাকা বেচাকেনা হবে বলে আশা করছি।'

১৯২২ সালে সাদেক আলী নামে একব্যক্তি প্রথম সলপ স্টেশনের কাছে ঘোল-মাঠা ও দইয়ের ব্যবসা শুরু করেন। বংশ পরম্পরায় যা ধরে রেখেছেন তার উত্তরসূরীরা।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর