ঈদে এলেই ঢল নামে রেলে। ট্রেনের উপচেপড়া ভিড় আর প্লাটফর্মের তাড়াহুড়ো জানান দেয় ঈদযাত্রার।
এবারও ঈদ যাত্রায় বিক্রি হবে আগাম টিকিট। প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে সাড়ে ৩৩ হাজার। সঙ্গে যুক্ত হবে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট।
প্রথমবারের মতো এবার ট্রেনে ঈদযাত্রা করবে পদ্মাপাড়ের মানুষ। কক্সবাজারের যাত্রীদেরও প্রথমবার ট্রেনে ঈদে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ থাকছে। এ নিয়ে গত এক বছরে নতুন পথে যুক্ত হয়েছে ৪ জোড়া নতুন ট্রেন। তবে ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তায় কী যুক্ত হচ্ছে এবার? নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রায় কতটা প্রস্তুত রেল?
![](https://images.ekhon.tv/EID RAIL 1.webp)
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে লাইনচ্যুত হয় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি। ছবি: এখন টিভি
১৮ মার্চ টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে লাইনচ্যুত হয় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি। তাতে উত্তরবঙ্গের সাথে সারাদেশের রেল চলাচল বন্ধ থাকে প্রায় ৫ ঘণ্টা। সময়সূচিতে বিপর্যয় হয় ২৯টি ট্রেনের।
তার একদিন আগে কুমিল্লায় রেললাইন বেঁকে লাইনচ্যুত হয় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি। আহত হয় ১০ যাত্রী। বন্ধ হয় চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ।
সাম্প্রতিক সময়ে এসব দুর্ঘটনার কারণে ঈদযাত্রায় ট্রেন ভ্রমণে শঙ্কা জাগাচ্ছে। যাত্রীদের চাওয়া, ঈদের আগেই সংস্কার করা হোক পুরাতন রেললাইন।
![](https://images.ekhon.tv/EID RAIL 2.webp)
কুমিল্লায় রেললাইন বেঁকে লাইনচ্যুত হয় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি। ছবি: এখন টিভি
একজন যাত্রী বলেন, 'ঈদের সময় মানুষের ভিড় অনেক বেশি থাকে। তখন যদি এমন কোনো কিছু ঘটে অবশ্যই সেটি শঙ্কার একটি বিষয়। বারবার ট্রায়াল দেয়া দরকার। রেল লাইন চেক করা দরকার।'
তবে রেলওয়ে বলছে, দুর্ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত তারা। তারপরও জরুরি সময়ে দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে রিলিফ ট্রেন।
কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, 'ঢাকা, আখাউড়া, চট্টগ্রাম ও সিলেটে আমাদের রিলিফ ট্রেন রাখা আছে। এগুলোয় সবসময় ইঞ্জিন লাগানো থাকে। যেন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুততম সময়ে পৌঁছতে পারে।'
![](https://images.ekhon.tv/EID RAIL 4.webp)
এখন টিভির সঙ্গে কথা বলছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। ছবি: এখন টিভি
মনিটরিংয়ের ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘পুরো রেলপথকে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। তবে তার আগে প্রয়োজন রেলের সম্পদ রক্ষায় জনসাধারণের সদিচ্ছা।
তিনি বলেন, 'আমাদের ক্যামেরার ব্যবস্থা আছে। এখন সেটার কন্ট্রোল স্টেশনে না রেখে আমরা সেন্ট্রালে নিয়ে আসছি। রেল লাইন যে সমস্ত ইউনিয়ন দিয়ে গেছে, সেসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরও আমরা সম্পৃক্ত করেছি। সরকারি এজেন্সিগুলোকেও সম্পৃক্ত করেছি। আমাদের মধ্যে বোধ সৃষ্টি হলে এগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তখনই সম্পূর্ণ নিরাপদ হওয়া সম্ভব।'
আগামী রোববার (২৪ মার্চ) শুরু হবে আগাম টিকিট বিক্রি। তা চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। আর ফিরতি টিকিট পাওয়া যাবে ৩ এপ্রিল থেকে।