দেশে এখন
0

বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত: ডাবল লাইনে এখনও শুরু করা যায়নি ট্রেন চলাচল

দুর্ঘটনার পর একদিন পেরিয়ে গেছে এখনও ডাবল লাইনে শুরু করা যায়নি ট্রেন চলাচল। দীর্ঘসময়ের উদ্ধার তৎপরতা শেষে ডাউন লাইন থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বগি সরানো গেলেও স্পষ্ট ক্ষতচিহ্ন। দুমড়ে মুচড়ে গেছে প্রতিটি বগি।

সোমবার (১৮ মার্চ) ভোররাত ৪টার দিকে ট্রেন চলাচলের জন্য ডাউন লাইনকে উপযুক্ত ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ১৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় একটি লাইনে।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের তেজের বাজার এলাকায় বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয় আপলাইনে। ট্রেনের ১৮টি বগির মধ্যে ইঞ্জিনের সঙ্গের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে, এতে সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর আপলাইন একেবারেই চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। বগিগুলোর বেশিরভাগ ডাউনলাইনে ছিটকে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৫০০ মিটার রেললাইন। এত বড় দুর্ঘটনার পিছনে রেলের কালভার্টে পুরাতন কাঠের স্লিপার ও নাট বল্টু খুলে নিয়ে যাওয়াকেই দুষছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই এই রেলপথে নাট বল্টু চুরি হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, 'দুর্ঘটনা হয়েছে একটা কারণেই ব্রিজে খেয়াল না রাখার জন্য। তক্তাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে এবং স্লিপারে নাট বল্টু নেই।'

ট্রেনের এত বড় দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। ডাউন লাইনের সংস্কার কাজ চলছে থেমে থেমে। দুর্ঘটনা কবলিত আপলাইন মেরামতের পূর্ব পর্যন্ত ডাউন লাইনেই নির্ভর করবে পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ। রেল চলাচল স্বাভাবিক রেখেই চলবে উদ্ধার তৎপরতা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন ২ দিনের মধ্যে তারা রেলপথ সচল করতে চান।

লাইনম্যান বলেন, 'এখন পর্যন্ত ৮ টা ট্রেন পার হয়েছে ডাউন লাইনে। আপলাইনে আরও দুইটা ট্রেন রয়েছে।'

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মো. হাসান চৌধুরী বলেন, 'প্রত্যেকটা জিনিসই অনুসন্ধানের বিষয়। অনুসন্ধান না করে কিছুই বলা যায় না। এইটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।'

দুর্ঘটনা ও উদ্ধার তৎপরতা চলার কারণে সোমবার (১৮ মার্চ) ভোর পর্যন্ত ৭টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়। আর পূর্বাঞ্চলের সব কটি ট্রেনই গন্তব্যে পৌঁছাতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা দেরি হচ্ছে

গেল বছর ১৬ এপ্রিল তেজের বাজার থেকে ২ কিলোমিটার অদূরে হাসানপুর স্টেশনের আওটারে ঢাকামুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশনে থেমে থাকা কন্টেইনারবাহী মেইল ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে লাইনচ্যুত হয় ৭টি বগি। এক বছরে দুটি বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী হল নাঙ্গলকোটবাসী।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর