ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়ের কোল ঘেঁষে নির্মিত উঁচুনিচু সর্পিল পথ। একপাশে কাপ্তাই হ্রদের নীল জলরাশি, অন্যদিকে সারি সারি দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ পাহাড়। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাঙামাটি আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের এ সৌন্দর্য টানছে পর্যটকদের।
রাঙামাটি শহরের থেকে কাপ্তাইয়ে যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এ সড়কটি। এই সড়ক ঘিরে গড়ে উঠেছে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেড়েছে কৃষি বাণিজ্য। সহজ যোগাযোগ ও কম সময়ে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের।
দর্শনার্থীরা বলেন, 'কাপ্তাই লেক পুরো রাঙামাটি বেষ্টিত। পাহাড়-নদী মিলে খুবই সুন্দর একটা জায়গা। অনেক ভালো লাগছে।'
ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ বাড়ায় বিকাশ ঘটছে এখানকার পর্যটন শিল্পের। ১০টি রিসোর্ট ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনের আয় কয়েক লাখ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, 'বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকরা আসছে। আমাদের ব্যবসা ভালো হচ্ছে, লাভবান হচ্ছি।'
বড়গাঙ রিসোর্টের সত্ত্বাধিকারী প্রিয়দর্শী চাকমা বলেন, 'সরকারি ছুটির দিন এবং শুক্র-শনিবারে মানুষ বেশি আসে। এখানে তাদের আনাগোনা অনেক বেড়েছে।'
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ চ্যাম্পিয়ন পুরষ্কার অর্জন করেছে ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সড়ক প্রকল্পটি।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ শফি বলেন, 'এ রাস্তাটি হওয়ার পরে পর্যটন সুবিধা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছ। এর আশেপাশে ১০ থেকে ১২টা রিসোর্ট হয়ে গেছে। সবচেয়ে অর্জন এখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হয়েছে।'