দেশে এখন
0

বিভাগীয় শহরের রেস্তোরাঁয় ইফতার কার্যক্রম স্বাভাবিক

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনার জেরে চলা অভিযানে ঢাকায় অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও এর প্রভাব নেই বিভাগীয় শহরগুলোতে। বেশিরভাগ রেস্তোরাঁয় আয়োজন করা হয়েছে ইফতার ও সেহেরি। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অনেক রেস্তোঁরা মালিক জোর দিয়েছেন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায়।

বেইলি রোডের ট্র্যাজেডির পর পর সিলেটের রেস্টুরেন্টগুলোতে বাড়ানো হয়েছে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা। কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সিলেটে নিয়ম মেনে পরিচালনায় মনযোগী হচ্ছে অনেক রেস্তোরাঁ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রমজানে রেস্তারাঁগুলোতে আয়োজন করা হয়েছে ইফতারের বিভিন্ন খাবারের।

রেস্তারাঁ ব্যবসায়ীরা বলেন, 'প্রতিবারের মতো এবারও আমরা ইফতার সরবরাহের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। গরু এবং খাসির বিশেষ ধরনের আইটেম থাকছে। এগুলোর চাহিদা খুব বেশি।'

ময়মনসিংহে রেস্তোরাঁগুলোয় আগুন নেভানোর যন্ত্র রাখাসহ নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। নিয়ম মেনে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে করা হয়েছে রমজানের খাবারের আয়োজন।

রেস্টুরেন্ট খাতের অস্থিরতার বিন্দুমাত্র প্রভাব নেই চট্টগ্রামের হোটেল-রেস্তারাঁয়। এখানকার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে আয়োজন রাখা হয় জমজমাট ইফতারের। তবে বেশিরভাগেরই নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।

খুলনায়ও অভিজাত সব হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে জোরদার করা হয়েছে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। রমজানজুড়ে এসব রেস্তোরাঁয় রাখা হয়েছে ইফতার ও সেহেরির নানা আয়োজন।

এক বিক্রেতা বলেন, 'খুলনার ঐতিহ্যবাহী চুইঝাল আমরা হালিমের সাথে মিশ্রণ করে দিয়েছি। এজন্য সবাই হালিমে বিশেষত্ব পাবে।'

তবে বরিশালের ৫০ শতাংশ রেস্তোরাঁয় নেই পর্যাপ্ত আগুন নেভানোর ব্যবস্থা। বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট চলছে বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে রান্না হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারে। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, নিয়ম মেনেই চালাচ্ছেন রেস্টুরেন্ট।