ধর্ম
দেশে এখন
0

সেহরি-ইফতারের আয়োজন পুরান ঢাকার হোটেল-রেস্তোরাঁয়

সেহরির জন্য রাজধানীবাসীর অনেকেরই পছন্দ পুরান ঢাকার হোটেল- রেস্তোরাঁ। নাজিরা বাজারসহ আশাপাশের এলাকায় এবারও যথারীতি করা হয়েছে নানা আয়োজন। ব্যবসায়ীদের আশা, সামনের দিনগুলোয় আরও বাড়বে বেচাকেনা।

বছর ঘুরে আবারও এসেছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। এই মাসকে ঘিরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের থাকে নানা আয়োজন।

পাশাপাশি সেহরি-ইফতারের জন্য প্রস্তুতি নেয় রাজধানীর হোটেল রেস্তোরাঁগুলোও। সে চিত্র এবারও দেখা গেছে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে। সেহরির আগে জমজমাট হয়ে ওঠে এখানকার সব খাবার দোকান।

রোজা এলেই সপরিবারে বা বন্ধুরা মিলে বাইরে সেহরি খাওয়ার প্রবণতা নতুন নয়। বিভিন্ন হোটেলে দেখা মিলল এক সঙ্গে সেহরি খাওয়ার দৃশ্য।

সেহরি খেতে আসা একজন বলেন, 'আমি যেহেতু ব্যাচেলর থাকি। আর এসব জায়গা বিখ্যাত, তাই এখানে রুমমেটদের সঙ্গে এসেছি।'

প্রথম রোজার সেহরিতে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। উপস্থিতি কম থাকলেও অনেককেই দেখা যায়, পার্সেলে করে খাবার নিয়ে যেতে।

আরেকজন বলেন, 'তেহারি নিতে আসছি। দোকানদের বললাম ভালো করে তেহারি দেখে দিতে।'

রমজানজুড়ে সেহরিকে ঘিরে লাভজনক ব্যবসার অপেক্ষায় থাকেন খাবার হোটেলের ব্যবসায়ীরা। তবে প্রথমদিন ক্রেতার উপস্থিতি আশানুরূপ কম থাকায় বেচাবিক্রি ছিল তুলনামূলক কম। তবে ধীরে ধীরে মানুষের ভিড় বাড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, 'আজকে প্রথমদিন তো একটু আনাগোনা কম লোকজনের। যেহেতু সবাই বাসা বাড়িতে ইফতার করবে। গতবার ভালো হয়েছে ব্যবসা, এবারও  আশা করছি। রোজা আরও কয়েকটা যাওয়ার পরে বাড়তে পারে কাস্টমারের সংখ্যা।'

রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকার রেস্তোরাঁগুলোতেও চোখে পড়ে নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতি। 

ইএ