দেশে এখন
0

কুড়িগ্রামে নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির

কুড়িগ্রামে বর্ষার ভরা নদীগুলো এখন নির্জীব। তলদেশ ভরাট হওয়ায় বুক চিরে জেগে উঠেছে চর। নদীতে নেই নাব্যতা, কোথাও কোথাও মানুষ হেঁটেই পার হচ্ছেন। ফলে নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের পূর্ব দিক ঘেঁষে প্রবাহিত হচ্ছে আন্তঃসীমান্ত নদী ধরলা। ভারত থেকে ফুলবাড়ী উপজেলার কর্ণপুর দিয়ে প্রবেশ করার পর উলিপুর উপজেলার বাগুয়া নামক স্থানে ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে নদীটি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ পুনরায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই ও পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় ধরলা নদী খননের কাজ শুরু করেছে। ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম ধনিরাম থেকে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ পর্যন্ত খনন কাজ চলছে। গত বছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া কাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে এরইমধ্যে কাজের ধীরগতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমোহনের চর ও ধরলা সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ দিকে খনন কাজ চলছে ঢিমেতালে। এছাড়া ড্রেজারের সমস্যায় বেশিরভাগ সময় কাজ বন্ধ থাকে। তাই দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়রা বলেন, ‘ড্রেজিংয়ের পাশেই নদী ভেঙে যাচ্ছে। প্রায়ই খনন কাজ বন্ধ থাকে। আবার কাজ হলেও ধীরগতিতে হয়।’

কুড়িগ্রামের রিভারাইন পিপলের সিনেটর এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘ধরলা নদীটি এ জেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর নদীর খনন কাজ দ্রুত শেষ হলে ব্যবসা-বাণিজ্য আবার সচল হতো।’

কুড়িগ্রাম চেম্বার্স অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ বলেন, নদীর নাব্যতা নেই। যে কারণে নদী দিয়ে মালামাল পরিবহনে বেশ অসুবিধা হয়। তাই অতিদ্রুত এই খনন কাজ শেষ হওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নদী খনন প্রকল্পের আওতায় কাজ চলছে। যথাসময়ে এই কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘নদীর খনন কাজ চলছে। এই কাজ আরও দ্রুতগতিতে বাস্তবায়নে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা হবে।’

কুড়িগ্রাম অংশে ধরলা নদীর দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার খনন করা হচ্ছে। খনন কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।