রমজান আসলেই দেশের বাজারে যেন দাম বাড়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। প্রতি বছরের মতো এবারও রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সতর্ক রয়েছে। শুল্ক কমানোসহ দফায় দফায় অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু দাম বাড়ানোর এই চেইন ভাঙবে কে?
রমজানকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আয়োজনে মতবিনিময়ে অংশ নেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, সমিতি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
সভায় পরিবহনে চাঁদাবাজি ও মধ্যস্থতাভোগীদের কঠোর হাতে দমন করার আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা। এছাড়া পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবিও জানান তারা। নিত্যপণ্যের এলসি খুলতে দ্রুত পদক্ষপ নেয়ার কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি।
আসন্ন রমজানে গ্যাস সংকট না থাকলে চিনি ও তেলের কোনো সংকট হবে না বলে জানান দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা জানান এ সব পণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে।
সিটি গ্রুপের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, 'রমজানের জন্য পরিমাণমতো সামগ্রী মজুদ আছে আমাদের কাছে। আমরা এরই মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা তেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা কমিয়ে দিয়েছি, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। আশা করছি, সুন্দরভাবে রমজান পালন করতে পারব।'
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য শুনে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, পণ্যের সরবরাহ ঘাটতি যেহেতু নাই, তাই কোনো পণ্যের দাম বাড়ানো যাবে না।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, 'সরবারহের যেহেতু ঘাটতি নেই, সেহেতু তেল, চিনি ও খেঁজুর নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। বক্তব্যে যেভাবে বলেছেন সেগুলো যেন ঠিক থাকে। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, বেগুন। এ তিনটিতে আমরা যেন সচেতন থাকি।'
পুরো রোজার মাসে ভোক্তা অধিকার, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বাজার তদারকি ছাড়াও এফবিসিসিআই নিজস্ব উদ্যোগে বাজার মনিটরিং করবে।