অর্থনীতি
দেশে এখন

হবিগঞ্জে ৩টি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

মাসিক বরাদ্দ শেষ হওয়ায় হবিগঞ্জের ৮টি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মধ্যে ৩টিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ। এছাড়া, আরো দু'টি বন্ধের পথে।

সচল থাকা ৫টি পাম্পে যানবাহনের চাপ বাড়ায় গ্যাস নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি পাম্পের সামনেই অন্তত ১ কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের সারি।

জেলার ৮টি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মধ্যে ৩টি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড।

সিএনজি অটোরকিশা চালকরা বলেন, 'রাত তিনটা কেউ রাত দুইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে সিরিয়াল ধরে গ্যাস নিতে হচ্ছে।'

আরেকজন বলেন, ' সকাল ৬ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত পাম্প বন্ধ থাকে। বন্ধের টাইমটা কমিয়ে দিলে  আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়।'

চালকদের অভিযোগ, চালু থাকা স্টেশন থেকে গ্যাস নিতে দুর্ভোগের পাশাপাশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। দিতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ।

ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের গ্যাসের জন্য মাসিক বরাদ্দ থাকে। এত দিন কড়াকড়ি না থাকায় কোনো কোনো স্টেশন বরাদ্দের চেয়ে বেশি গ্যাস বিক্রি করেছে। তবে সরকার এখন গ্যাস সাশ্রয়ের নির্দেশ দেওয়ায় বরাদ্দের বাইরে গ্যাস সরবরাহ করে না ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এ অবস্থায় মাসিক বরাদ্দের গ্যাস নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হয়ে যাওয়ায় ৩টি স্টেশনে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

সিটকো সিএনজি লিমিটেডের ম্যানেজার হুমায়ুন রশীদ জাবেদ বলেন, 'প্রত্যেকটা পাম্পে লোড বাড়াতে হবে। লোড না বাড়ালে যেমন  আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা মনিবাজারের পাম্প গুলো যদি বন্ধ থাকে তখন সব গাড়ি আমাদের হবিগঞ্জে চলে আসে।’

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মুরাদ হোসেন বলেন, 'সংযোগগুলো অনেকদিন  আগে দিয়েছি। ২০০৯ - ২০১০ সালের দিকে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তখনকার চাহিদা মোতাবেক গ্যাসের লোড দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে গাড়ি চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় আর লোড বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না।'

গ্যাস না পেয়ে অনেক পরিবহন চালক এলপিজি ব্যবহার করছে। এতে বাধ্য হয়ে ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছেন চালকরা।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর