শহরজুড়ে লেখা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। মায়ের ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে খুব কম জাতি। এই দিনটি তাই যেমন অহংকারের তেমনি বেদনার এবং মায়ের আহাজারির। ভাষা শহীদদের মায়ের বেদনামাখা মুখ যেন ফুটে উঠেছে ঢাকার দেয়ালে।
বাংলা ভাষাকে নিয়ে রচয়িত কবিতা-গানের প্রতিফলন ঢাকার দেয়ালগুলোতে দেখা যাচ্ছে।
শহর জুড়ে চলছে দেয়াল লিখনের কাজ
আলপনা অঙ্কনকারীদের একজন বলেন, 'এটা (আলপনা) প্রতিবছর লেখা হয়। সারাবছর এভাবেই থাকে। হয়তো বছর শেষ হতে হতে এটা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আবার নতুন করে লেখা হয়। কারণ একুশে ফেব্রুয়ারিতে সকল শ্রেণির মানুষ এখানে ফুল দিতে আসে। তারা প্রত্যেকেই এটা দেখে।'
১৯৫৩ সাল থেকেই শহীদের স্মরণে ২১ ফেব্রুয়ারিতে হয়ে আসছে প্রভাতফেরি। একুশ মানে ভাইয়ের রক্ত আর করুণ বাতাস। ২১শে ফেব্রুয়ারি শোক ছাড়াও গৌরবের ও অনুপ্রেরণার।
ভাষাপ্রেমিকরা বলেন, 'একুশ একসময় শোকের ছিলো কিন্তু এখন আমার চেতনা এবং গৌরবের। কারণ ভাষা আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা ছিলো। ভাষাসৈনিকদের ত্যাগ মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছিল। মাতৃভাষা দিবস আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, এজন্য বাঙালী হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি।'
শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
শহীদ মিনার জুড়ে চলছে আলপনা আঁকার কাজ। শহীদ মিনারের আশেপাশের রাস্তায় চলছে আলপনা আঁকার কাজ। এছাড়াও ঢাকার নানা জায়গায় আঁকা হবে রঙিন আলপনা।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং পরের বছর থেকে জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলো দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে আসছে।