বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া একটি বাজার তুমব্রু বাজার। স্বাভাবিক সময়ে এখানে শতশত মানুষের উপস্থিতি থাকে, কিন্তু এখন সেখানে হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ। অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে আছে। যেসব দোকান খোলা আছে সেখানে অনেকটা অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। এ বাজারে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি পশুর মাংস বিক্রি হতো। কিন্তু আশপাশের গ্রামে মানুষ কম থাকায় জবাই হয় না একটি পশুও।
একজন দোকানি বলেন, 'দিনে সাত থেকে আট হাজার টাকা বেচাকেনা হতো। এখন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকাও হয় না। মানুষ কম হিসেবে এখন বেচাকেনা কম হচ্ছে।'
বাজারের পাশেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির কোনারপাড়া, হিন্দুপাড়া, বাজারপাড়া গ্রাম। সব গ্রামই নারী-শিশু শূন্য হয়েছে। মাঝে-মাঝে ঘর পাহারা দিতে আসছেন পুরুষ সদস্যরা। কেউ কেউ দিনভর গ্রামে থেকে রাতে চলে যাচ্ছেন পার্শ্ববর্তী উখিয়ায়। কখন কি হয় সেই আতংক বিরাজ করছে সবার মাঝে।
স্থানীয় একজন বলেন, 'আজকে গোলাগুলি হচ্ছে না বলে বাড়িঘর দেখতে আসলাম। পরিবারের সদস্যরা একেজন একেক জায়গায় আছে।'
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে সীমান্ত লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা প্রায় ১৬ হাজার। এরমধ্যে ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ইতোমধ্যে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। তবে ঘরের সহায়-সম্পদ রক্ষার জন্য রয়ে গেছেন কিছু পুরুষ সদস্য।
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, 'আমাদের গ্রামগুলোর মেম্বাররা, চৌকিদার সবসময় অবজারভেশনে আছি। যেকোন পরিস্থিতিতে আমরা মানুষের কাছে গিয়ে সাহায্য করবো।'
গত দুই দিনে বান্দরবানের ঘুমধুম, তুমব্রু সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ আসেনি। এতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও আতংক-উদ্বেগ কাটেনি সীমান্তের বাসিন্দাদের।