দেশে এখন
0

বিজিবি'র ক্যাম্পে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের ৯৫ সীমান্তরক্ষী

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের চলমান সংঘাতে ফের উত্তপ্ত বান্দরবানের সীমান্তবর্তী এলাকা। বিদ্রোহীদের আক্রমণের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৯৫ সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

নাইক্ষ্যংছড়ি, তুমব্রু সীমান্তের ওপার ভেসে আসছে গোলাগুলির শব্দ। মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির তীব্র হামলার মুখে ক্যাম্প ছাড়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি'র সদস্যরা।

জীবন বাঁচাতে সীমানা পেরিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৯৫ সদস্য আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিজিবি'র কাছে।

গেলো এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা দেশটির দু'গ্রুপের আতঙ্কে সীমান্তবর্তী ঘুমধুম, তমব্রু, বাইশফাঁড়ি, কোনারপাড়াসহ বান্দরবান সীমান্তের বেশকটি এলাকার বাসিন্দারা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ছে গুলি ও মর্টার। আহত হয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিক।

আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্তের কয়েক হাজার বাসিন্দার। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন নিরাপদে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তুমব্রু প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫টি স্কুল।

আরও পড়ুন, ‘মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে দিতে আলোচনা চলছে’

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্কাবস্থায় রয়েছে বিজিবি। এছাড়া অনুপ্রবেশ ঠেকানো ও স্থানীয়দের নিরাপত্তায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে, বলছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন।

তুমব্রু সীমান্তে বিজিবির সাথে একসঙ্গে হয়ে কাজ করছে পুলিশ। বিজিবিকে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা দিতে সহয়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহা পরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

গেল ২২ জানুয়ারি থেকে সংঘাত শুরু হয় নাইক্ষ্যাংছড়ির ঘুমধুম তমব্রু সীমান্ত এলাকায়।

এসএসএস