নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে চট্টগ্রামের সিটিগেট পর্যন্ত ৪৯০টি পোলের মাধ্যমে বসছে অত্যাধুনিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এগুলো নিয়ন্ত্রণে মেঘনাঘাট, দাউদকান্দি, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়ন ও সিটিগেট এলাকায় স্থাপন হয়েছে মনিটরিং সেন্টার। তবে মূল কমান্ড সেন্টার থাকবে হাইওয়ে পুলিশ সদর দফতরে। ক্যামেরা ও অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের কাজ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এডিবি'র অর্থায়নে ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার এ প্রকল্পের কাজের প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ।
যাত্রী ও চালকরা বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা থাকলে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান সহজ হবে। এছাড়া চালকরাও সতর্ক হয়ে গাড়ি চালাবেন বলে মনে হয়।’
অপরাধ দমনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এমন ১ হাজার ৪২৭টি সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এই ক্যামেরা যেকোন ধরনের অপরাধ শনাক্ত করতে পারে। এতে করে যাত্রী ও চালকদের জানমালের নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমন হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতাও বাড়বে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ছবি: এখন টিভি
রাতের আঁধারে গাড়ি থামিয়ে রপ্তানি পণ্য ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির বড় দুশ্চিন্তার কারণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। গেল ১০ বছরে এই মহাসড়কে দুইশো’র বেশি রপ্তানি পণ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে।
চালকরা বলছেন, এসব অপরাধ ছাড়াও রাজনৈতিক বিভিন্ন নাশকতা দমনে কাজে আসবে এই ক্যামেরা।
কুমিল্লা হাইওয়ে রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, ‘মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ, পালিয়ে বেড়ানো যানবাহনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং নির্দিষ্ট গতিসীমা অতিক্রম করা যানবাহনের নামে বিশেষ এ ক্যামেরায় ভিডিও মামলা দেয়ার সুবিধা রয়েছে।’
কুমিল্লা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আবদুল মান্নান বলেন, ‘এসব ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থেকে সুফল পাওয়া শুরু হলে চলাচল করা গাড়ি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা ছাড়াও দুর্ঘটনা ও অপরাধ দমন সম্ভব হবে।’
সিসি ক্যামেরাগুলো চীনের হুয়াং প্রতিষ্ঠানের তৈরি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হবে।