মতিঝিল পর্যন্ত একবেলা মেট্রো চালু হবার পর বোঝাই যাচ্ছিল এই পথে দিন রাত কতটা ভিড় হবে। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে উত্তরা উত্তর স্টেশনে এমন ভিড়। নিয়মিত বিরতিতে একটার পর একটা ট্রেন আসছে আর যাত্রী ভরে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
উত্তরা স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী আবিদুর রহমান। তাঁর বাসা উত্তরায়, কর্মস্থল সেগুনবাগিচা। এই পথে যাতায়াতে নিয়মিত ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতেন তিনি। কিন্তু সারাদিন মেট্রোরেল চলাচলের খবরে একদিনেই বদলে ফেলেছেন দীর্ঘদিনের অভ্যাস।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি ব্যক্তিগত গাড়িই ব্যবহার করতাম কিন্তু সন্তানদের স্কুলে নামিয়ে অফিস ধরাটা কষ্টকর হতো। এখন মেট্রো ব্যবহার করে সহজেই অফিস ধরতে পারছি।'
শনিবার থেকে সংক্ষিপ্ত সময়সূচি পরিবর্তন করে দিন রাত যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। অফিসগামী যাত্রী, বিশেষ করে যারা ব্যক্তিগত বা অফিসের গাড়ি ব্যবহার করতেন তাঁরা এখন বেছে নিচ্ছেন মেট্রোরেল। কারণ ফিরতি পথেও যে মিলছে এই সুবিধা।
যাত্রীরা জানান, আগে বিকাল ৪ টার অফিস শেষ করে বাসায় ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে যেতো। তবে মেট্রোর কল্যাণে ৩০-৪০ মিনিটেই ঘরে ফিরতে পারবেন।
একই সাথে বাসের মতো ধাক্কাধাক্কি কিংবা যুদ্ধ করে ওঠার ঝামেলা নেই বলে খুশি ব্যবহারকারীরা ।
প্রতিটি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারেই দেখা গেছে লম্বা লাইন। টিকিট কাটতে সময় বেশি লাগায় বিরক্ত কেউ কেউ। অতিরিক্ত কাউন্টার স্থাপন এবং ভাড়া সহনশীল করার দাবি জানালেন অনেকে। তবে স্থায়ী পাস নিলে এই ভোগান্তি নেই বললেই চলে।
একক টিকিটের জন্য অনেক লম্বা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। তাই তাদের দাবি কাউণ্টার সংখ্যা বাড়ানোর। একইসাথে বাস ভাড়ার সাথে সমন্বয় করে ভাড়া কমানোর দাবিও যাত্রীদের কন্ঠে।
মেট্রো চালুর পর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেছে। ভিড় কমেছে গণপরিবহনেও।