পরিবেশ ও জলবায়ু
দেশে এখন
0

নির্দেশনা সত্ত্বেও তীব্র শীতে বন্ধ হয়নি বিদ্যালয়

দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বা তার নিচে নামলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল বন্ধ হয়নি। তীব্র শীতের মধ্যেই চালু রয়েছে বিদ্যালয়। তবে কমেছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি।

গত কয়েকদিন থেকে মৌলভীবাজারে বাড়ছে শীত। বুধবার জেলার শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। একই অবস্থা মেহেরপুরে, বুধবার জেলার তাপমাত্রা নেমেছে ৯.৮ ডিগ্রিতে। তীব্র শীতের সাথে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন।

তবে এই শীতের মধ্যে চালু রয়েছে সব বিদ্যালয়। ময়মনসিংহ, রাজশাহীসহ উত্তরের জেলাগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রভাতী শাখায় উপস্থিতি কমেছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত।

শিক্ষার্থীরা বলেন, 'আমাদের এই শীতের মধ্যে স্কুলে আসতে খুব কষ্ট হয়। ক্লাসে সবাই উপস্থিত থাকতে পারে না। আমরা স্কুল যেন বন্ধ হয়ে যায়।'

অভিভাবকরা বলেন, 'বিদ্যালয় বন্ধ হবে কিনা এই নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দেখছি না। সকালে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে আসাও অনেক কষ্টের। সবার তো আর শীতের পোশাক পড়ে আসার ক্ষমতা নাই। ১০০ জনে ৩০-৪০ জন বিদ্যালয়ে আসে।'

রাজধানীর স্কুলগুলোতেও প্রভাতী শাখায় কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। তাতে কোন কোন স্কুলে স্কুল শুরুর সময় পেছানো হয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি নির্দেশনা মেনে স্কুল বন্ধ রাখার দাবি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

খুদে শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্যাপ, সোয়েটার আর মাস্ক পড়ে স্কুলে আসছে তারা। সকালে আসার সময় খুব শীত অনুভব করে।

অভিভাবকরা বলেন, 'অর্ধেক রাস্তায় এসে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে গেছে। তাই বাসায় ফেরত চলে যাই। স্কুলের সময়টা পেছালে ভালো হয়।'

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, 'প্রশাসন যদি বলে সেক্ষেত্রে আমরা বিদ্যালয় বন্ধ করতে পারি। নয়তো আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। তবে উপস্থিতি কম আছে।'

শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সিদ্ধান্ত নেয় দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নামলে বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, 'দরজা-জানালা বন্ধ করে ক্লাস নেয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। আর তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। এসব ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।'