রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার কিছু সময় পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছান সদ্য সাবেক হওয়া তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
নতুন সহকর্মীদের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে সোজা ব্রিফিং রুমে চলে যান। মতবিনিময় করেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে।
জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা। শুরুতেই বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোন চাপ অনুভব করছেন না তিনি। কারণ বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও সন্তুষ্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে।
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, 'আমরা কারও চাপ অনুভব করছি না। নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের চাপ ছিল। সব চাপ উতরে নির্বাচন হয়ে গেছে। সুতরাং আমরা কখনো কারও চাপ অনুভব করি না।'
সামনের দিনে বাণিজ্য সম্প্রসারণে অর্থনৈতিক কুটনীতিকে গুরুত্ব দিতে চান এই মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে অর্থনৈতিক কুটনীতিটা আরও শক্তিশালী করতে হবে। আমরা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ পশ্চিমাদের উপর নির্ভরশীল। পূর্বের বাজার সম্ভাবনাকে অন্বেষণ করতে হবে।'
এর আগে সচিবালয়ে পুরনো দায়িত্ব নতুন করে শুরু করেন আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুজনেই কথা বলেন সংবাদকর্মীদের সাথে। আইনমন্ত্রী জানান, মামলাজট কমাতে সঠিক পথে এগুচ্ছে তার মন্ত্রণালয়। তবে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফেরানো।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের আমরা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এটা দেশবাসীর কাছে আমাদের অঙ্গীকার।'
বিএনপির জ্বালাও পোড়াও-এর রাজনীতি প্রত্যাখান করেছে দেশের মানুষ- এমনটি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগুন সন্ত্রাস রুখতে তৎপর রয়েছে তার বাহিনী।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, 'দেশে এখন একটা শান্তির সুবাতাস বইছে। অঘটন ঘটানোর প্রচেষ্টাগুলো আমরা নিভৃত করতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও এটা অব্যাহত থাকবে।'