প্রথমে ট্রাইব্যুনালে আসেন শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। একে একে প্রিজন ভ্যান থেকে নামেন শাহজাহান খান,ইনু, মেনন, পলক। এরপর আসেন কামাল আহমেদ মজুমদার, আমু, কামরুল, ফারুক খান, আনিসুল হক, দীপু মনি ও সাবেক বিচারপতি মানিক।
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর আদালতকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট। তাদের ফোনালাপসহ অন্যান্য প্রমাণ হাতে এসেছে। সেগুলো মামলার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ২ মাসের সময় চেয়েছেন প্রসিকিউশন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু জাতিসংঘের মতো একটা বিশ্বের বড় সংগঠন যাদের পক্ষে বাংলাদেশের জন্য কোনো পক্ষপাত থাকার কথা নয়। তারা যেহেতু গণহত্যার ব্যাপারে সুস্পষ্ট একটা রিপোর্ট দিয়েছে। এটা আমাদের মামলা প্রমাণের জন্য বড় একটা এভিডেন্স হিসেবে কাজ করবে, এই কারণে আমরা দুই মাসের সময় চেয়েছিলাম। আদালত আগামী ২০ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করেছে। আমরা আশা করছি এর আগেই তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে পারব।’
পরে ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের ১৬ মন্ত্রী এমপিসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে ২০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেন। একইসাথে আদালত এই মামলার আরেক আসামি সোলায়মান সেলিমকে একই দিনে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মানবতা বিরোধী অপরাধ হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরাধ এবং এর তদন্ত প্রক্রিয়ার হচ্ছে সবচেয়ে জটিল। এজন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমরা রিপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছি। সেখানে আমাদের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন দিন-রাত কাজ করছে। আশা করছি খুব সহসাই রিপোর্টগুলো আমাদের হাতে চলে আসবে।’
এদিকে, আসামিরা জামিন আবেদন করলে প্রসিকিউশন এর বিরোধিতা করা হবে বলেও জানান তাজুল ইসলাম।