পহেলা ডিসেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার রুটে প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে 'কক্সবাজার এক্সপ্রেস' ট্রেন। যাত্রার শুরুতেই মেলে ব্যাপক সাড়া। এই ট্রেনে পর্যটন নগরী কক্সবাজার যেতে যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে ভ্রমণপিপাসুরা। প্রতিদিন বিক্রি শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যায় সব টিকিট।
এমন প্রেক্ষাপটে এবার একই রুটে নতুন ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। ১৮ কোচের বাহনে আসন থাকবে ৭৮৫টি। যা পর্যায়ক্রমে বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলা নতুন ট্রেনটি চালুর জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজারের স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী বলেন, 'ট্রেনটির নাম হতে পারে পর্যটন এক্সপ্রেস। সবকিছু প্রায় ঠিকঠাক করা আছে। যেকোন সময় চালু হতে পারে।'
কক্সবাজার যাতায়াত আরও স্বাচ্ছ্যন্দ হবে বলে মন্তব্য পর্যটক ও স্থানীয়দের। তারা বলেন, 'রেলমন্ত্রীকে বলতে চাই আমাদের আরও ট্রেন দেওয়ার জন্য। কারণ টিকিট পেতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। অপেক্ষায় আছি নতুন ট্রেনের, আর ট্রেনে কেবিন থাকলে ভালো হয়। ট্রেনের সংখ্যা বাড়লে সহজে ভ্রমণ করা যাবে।'
কর্তৃপক্ষ বলছে নতুন ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল সোয়া ৬ টায়। যেটি কক্সবাজার পৌঁছাবে বিকেল ৩ টায়। ফিরতিপথে ট্রেনটি রাত ৮ টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর সাড়ে ৪ টায়। সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে রোববার।
এই রুটে ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার সদস্য ও গ্রামপুলিশ নিয়োগ করার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, '২৮৫ জন আনসারের সাথে গ্রামপুলিশও নিয়োজিত থাকবে। এখানে ভোরের দিকে ট্রেন আসে তাই রাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশি জোর দিচ্ছি।'
গত ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।