কবুতর বা পায়রাকে বলা হয় শান্তির প্রতীক। মেহেরপুরে শখ করে কবুতর পালন শুরু করলেও অনেকের জন্য এটিই এখন আয়ের বড় মাধ্যম। স্বাবলম্বী হওয়ার মতো গল্প তৈরি করছেন অনেক যুবক। জেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েকশ' যুবক কবুতর পালন করে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা।
কবুতর খামারিরা বলেন, 'আমাদের কাছে বিভিন্ন জাতের কবুতর আছে। শখের বসেই পালন করি। দামি কিংবা কম দামি সব রকমের কবুতর পাওয়া যায়। খাবারের দাম কমলে আরও বেশি কবুতর পালন করতে পারতাম।'
পৃথিবীতে ২শ' প্রজাতির কবুতর রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশেও কমপক্ষে ৫০ ধরনের দেখা মেলে। মেহেরপুরে আসল ও শংকর মিলে প্রায় ৩০ প্রজাতির কবুতর রয়েছে। প্রজাতিভেদে যেমন আকার আকৃতি খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন, তেমনি হেরফের হয় দামের ক্ষেত্রেও। পাওয়া যায় ৩শ' টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকা জোড়া দামের কবুতরও।
ব্যবসায়ীরা জানান, 'প্রতি বৃহস্পতি ও রবিবার পায়রার হাট বসে। অনেকেই এখানে কবুতর কিনতে আসে।' আর ক্রেতারা বলেন, 'কবুতর পালনে কোন সমস্যা হয় না। পালতে পারলে উপকারের পাশাপাশি আয়ও আছে।'
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে জেলায় ৮শ' খামারে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার কবুতর আছে। কবুতরের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে তারা। রোগবালাই প্রতিরোধেও বিভিন্ন ধরনের টিকা সরবরাহ করা হয়।
উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রহমতউল্লাহ বলেন, '৭ দিন এবং ২১ দিন বয়সের মধ্যে একবার করে টিকা দিতে হয় এবং কবুতরের চোখের ড্রপ দিতে হয়। আর বড় হলে রাণীখেতের ইঞ্জেকশন দিতে হয়।'
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, 'যারা কবুতর প্রেমি কিংবা খামারি রয়েছে তাদেরকে আধুনিক কবুতর পালনের পরামর্শ দেয়ার জন্য ভেটেরিনারি সার্জনসহ কর্মকর্তারা রয়েছে। এছাড়া লিফলেটও রয়েছে।'
তরুণ ও গৃহিণীদের কবুতরসহ বিভিন্ন পশু-পাখি পালনে দক্ষ করে গড়তে সহায়তার কথা জানায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এতে বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টি চাহিদা পূরণেও ভুমিকা রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।