কীর্তনকারীরা বলেন, 'সারাবছরের ভুলগুলো শুধরে যেন আমরা আত্মশুদ্ধ হই এটাই প্রচার করা লক্ষ্য। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই আমাদের মধ্যে যে আনন্দ কাজ করে তা সবাইকে জানান দিতেই এই কীর্তন।'
বড়দিনে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটার গীর্জায় দেখা গেলো আলপনার রঙ আর নানা প্রস্তুতি।
পাথরঘাটা পবিত্র জপমালা রাণী গির্জার ফাদার রিগ্যান ডি কস্টা বলেন, 'যীশুখ্রীষ্টের পৃথিবীতে আগমণ করাটা আমাদের কাছে আনন্দের। যা ভক্তদের মনে শান্তি দান করে থাকে।'
বড়দিনের রঙ লেগেছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে। চলছে সাজসজ্জার কাজ। এমন সময় মন কাড়ে শিশুদের ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর রেওয়াজ। সান্তার টুপি মাথায় দিয়ে ঘুরছে অনেকে। কেউ ক্রিসমাস বল, কেউ ঢোল কেউবা নানা রঙের পুতুল দিয়ে রঙিন করে তুলছে বড়দিনের গাছ। এসময় তাদের মূল আকর্ষণ উপহার আদান-প্রদান।
শিশুরা বলে, 'আমরা বড়দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। উপহার নিব, ঘর সাজাবো এবং মজার মজার খাবার খাবো।'
ঘর সাজানো, নতুন পোশাক কেনাকাটা, উপহার নিয়ে আনন্দের ব্যস্ততার মাঝে ঘরের নারীরা নেন ক্রিসমাস কেক সাজানোর প্রস্তুতি। চলে অতিথিদের বরণ করে নিতে নানা মজাদার পিঠার আয়োজনও।
নারীরা বলেন, 'ক্রিসমাস কেইক হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। আমরা বেকারির পাশাপাশি নিজেরাও ঘরে তৈরি করি। এই কেক কিছুটা আলাদা'
বড়দিন এলে নগরের বড় হোটেলগুলোতেও চোখে পড়ে সাজ সাজ রব। এসময় তারা নানা ধরনের আয়োজনের সাথে দেন বিশেষ অফারও।
দ্য পেনিনসুলার বিপণণ প্রধান কামাল হোসেন জানান, 'ক্রিসমাস ডে উপলক্ষে বিভিন্ন খাবারের উপর বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়।'
বড়দিন উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯টায় ও রাত ১২টায় দুটি মূল প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। পরদিনও নানা আয়োজনে মুখর থাকবে গির্জা প্রাঙ্গন ও খ্রিষ্টান পাড়া মহল্লা।