এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে পদ্মা সেতুর ঋণের ৫ম ও ৬ষ্ঠ কিস্তির ৩১৫ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪২ টাকা পরিশোধের চালান হস্তান্তর করে সেতু কর্তৃপক্ষ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের ৫ এপ্রিল ১ম ও ২য় কিস্তি পরিশোধ করা হয়। এই দুই কিস্তিতে ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা এবং ১৯ জুন ৩য় ও ৪র্থ কিস্তির ৩১৬ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ টাকা পরিশোধ করা হয়।
এবারের দুই কিস্তিসহ মোট ৯৪৮ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৫ টাকা পরিশোধ করা হলো।
দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রায় ৩২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো অর্থ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
এই মেগা প্রকল্প নির্মাণে বাংলাদেশকে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। দুর্নীতির অভিযোগে শুরুতেই বিশ্বব্যাংক ঋণের অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে এই অভিযোগ কানাডার আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। সেসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে নিজস্ব অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
২০২২ সালের জুনে পদ্মা সেতু চালু হওয়া থেকে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন হাওয়া বইছে। পিছিয়ে পড়া দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক আশার বাতি হয়ে উঠেছে পদ্মা সেতু।