চট্টগ্রামের নেভাল জেটিতে রঙবেরঙের পতাকায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে সারি সারি যুদ্ধজাহাজ। সাথে আছে সুসজ্জিত নানা ধরনের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র।
বিজয় দিবসে কয়েক ঘণ্টার জন্য যুদ্ধজাহাজ দেখার সুযোগ পান সর্বসাধারণ। মানুষের ঢল নামে চট্টগ্রামের নেভাল জেটিতে। বিশাল আকৃতির জাহাজ দেখে উচ্ছ্বসিত সবাই। তবে সব থেকে বেশি খুশি শিশুরা।
শিশুরা বলেন, এখানে বছরে একবার আসতে পারি, ঘুরে ঘুরে জাহাজ দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। যুদ্ধের অনেককিছু আছে, যা দিয়ে আমাদের দেশকে রক্ষা করা হয়েছে।
গভীর সমুদ্রে থাকা এসব জাহাজ দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষা, উপকূল পাহারা, চোরাচালান রোধ ও দুর্যোগে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। প্রদর্শনীতে, কীভাবে সেসব কাজ হয় তা জানার পাশাপাশি সুযোগ হয় বিরল অস্ত্র দেখার।
দর্শনার্থীরা জানান, ‘আমাদের ভালো আতিথেয়তা দিয়েছে। ভিতরে যারা দায়িত্বে ছিল, তারা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে কোনটা দিয়ে কি কাজ করা হয়’।
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে উম্মুক্ত রাখা হয় নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা শহীদ আখতার উদ্দিন। তাই নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই তৈরি হয় দীর্ঘ লাইন। জাহাজে দায়িত্ব পালনের কলাকৌশল সম্পর্কে জানতে পারেন দর্শনার্থীরা।
এক দর্শনার্থী বলেন, ‘নাবিকরা আমাদের দেশের জন্য অনেক পরিশ্রম করে। দেশরক্ষার জন্য যা প্রয়োজন তা দেখিয়েছে। এর আগে মোবাইলে দেখেছিলাম, কিন্তু এবার প্রথম সামনাসামনি দেখলাম, অনেক ভালো লেগেছে’।
মোংলায় নৌবাহিনীর দিগরাজ ঘাঁটিতে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয় 'বানৌজা তুরাগ' ও কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদর দপ্তরে 'বিসিজিএস মনসুর আলী' যুদ্ধজাহাজ।