১৮৮৬ সালে কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মানবিক কোর্স চালুর অনুমতি পায়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের তৎকালীন একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কলেজে যে ক'টি ভবন ছিল কালের আবর্তে তা প্রায় সবই বিলীন। তবে তৎকালীন জমিদারদের নিদর্শন হয়ে কালের সাক্ষী হিসেবে টিকে আছে মাত্র দুটি ভবন।
প্রায় দেড়শ' বছর আগে তৈরি ভবনগুলো দেখলেই বোঝা যায় এর নান্দনিকতা। যা এখন অনেকটা অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হতে চলেছে। প্রতিদিনই ভবনের বিভিন্ন অংশ একটু একটু করে ভেঙে পড়ছে।
স্থানীয়রা বলেন, 'এই ভবনগুলোকে যদি সংরক্ষণ করা না হয় তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তা আর দেখতে পারবে না। এখনি পদক্ষেপ না নিলে এগুলো হারিয়ে যাবে। আমরা চাই ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো নড়াইলের বুকে যেন টিকে থাকে।'
ঐতিহ্যবাহী পুরাতন এই কলেজটি দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন দর্শনার্থীরা। ভবনের দৈন্যদশা দেখে হতাশ অনেকে। নড়াইলের ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে ভবনটি সংস্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা বলেন, 'এই ভবনগুলো দেখলেই মানুষ বুঝতে পারে যে এটা ভিক্টোরিয়া কলেজ। আমরা দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।'
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রবিউল ইসলাম বলেন, 'পরিত্যক্ত ভবনটির নান্দনিক শিল্প সম্মত মূল্য রয়েছে। প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর ভবনটি সংস্কারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।'
জমিদারদের এলাকা হিসাবে খ্যাত নড়াইলে জমিদারি আমলের কারুকার্যপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা থাকলেও বিভিন্ন সময় সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। রেখে যাওয়া অনেক জমিজমাও দখল হয়েছে। বর্তমানে কলেজের এই ভবন দুটি ছাড়া জমিদারদের রেখে যাওয়া তেমন কোন স্মৃতি চিহ্ন নেই এ জনপদে।