ভোরের কুয়াশা আর হিম বাতাসে শীতের শহরের রূপ পেয়েছে পদ্মার তীর ঘেঁষা নগরী রাজশাহী। বেলা বাড়লেও হিমেল হাওয়ার কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।
মৌসুমের শুরুতে অনেকেই শীত উপভোগ করলেও বিপাকে ছিন্নমূল ও নদীপাড়ের বাসিন্দারা। একটু উষ্ণতার খোঁজে ভিড় বাড়ছে পদ্মাপাড়ের চায়ের দোকানগুলোতে।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বেরিয়ে বিপাকে রিক্সাচালক, সবজি বিক্রেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। মৌসুমের শুরুতেই শীতের এমন প্রকোপ সামনের দিনগুলোতে ভোগান্তি আরও বাড়াবে মনে করছেন নগরবাসী।
এক রিক্সাচালক বলেন, 'অতিরিক্ত বাতাস ও কুয়াশার মধ্যেই ভোরবেলা গাড়ি নিয়ে বের হয়ে রাত পর্যন্ত চালাই। এই ঠান্ডায় অনেক কষ্ট হয়।'
পথচারীরা জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় শীত অনেক বেশি। বিশেষ করে যারা ফুটপাতে ঘুমায় তাদের কষ্টটা অনেক।
শীতের তীব্রতা বেড়েছে উত্তরের আরেক জেলা নওগাঁয়। হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কষ্ট হচ্ছে বাসিন্দাদের। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ এবং কৃষকদের।
ভ্যানচালকরা বলেন, 'তিনদিন যাবত শীতের প্রকোপ একটু বেশি। কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট অনেক ঘোলা। অতিরিক্তি ঠান্ডার কারণে সড়কে মানুষ কমে গেছে, এতে আমাদের আয় আগের থেকে অনেক কমে গেছে।'
গেল কয়েকদিন ধরেই তীব্র শীত জেঁকে বসেছে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায়। তাপমাত্রার নেমে যাওয়ার সাথে ঠান্ডা বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন কম।
শীতের জন্য ঘর থেকে বের হতে না পারায় কাজ জুটছে না শ্রমিকদের। এছাড়া শীতের কারণে দুই জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
এদিকে কুয়াশার কারণে ঢাকা-ভোলা রুটে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে প্রাণ হারান এক যাত্রী, আহত হন আরও ৪ জন।
সকালে দেশের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এছাড়া দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ১, সৈয়দপুরে ১৩ ডিগ্রি, যশোরে ১৩ দশমিক ৮ এবং রংপুরে ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।