এখন ভোট
দেশে এখন
0

সিরাজগঞ্জে শিল্প-কারখানা স্থাপনের দাবি ভোটারদের

যমুনা অববাহিকায় গড়ে উঠা সিরাজগঞ্জের বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকা চরাঞ্চলের কৃষি, তাঁতশিল্প, দুগ্ধ খামার ও মৎস্য চাষের ওপর নির্ভরশীল। এ জেলায় আছে বাঘাবাড়ি নদী বন্দর ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ি।

দুই হাজার ৪৯৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই জেলার প্রায় ৩৫ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করে। আছে ৬টি সংসদীয় আসন। জনসংখ্যার অধিকাংশই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া কাপড় ব্যবসার সঙ্গে অনেক পরিবার জড়িত আছেন। তাই কৃষিখাতের সুবিধা বাড়ানোসহ তাঁতশিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানিয়েছেন এ অঞ্চলের ভোটাররা।

স্থানীয়রা বলেন, কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম সীমিত রাখতে হবে। আর বিদ্যুতের দাম সহনীয় থাকলে আমাদের উৎপাদন আরও বাড়বে। এছাড়া সিরাজগঞ্জে কাজের অভাব আছে, তাই কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে হবে।

এবার জেলায় নতুন ভোটারের সংখ্যা প্রায় পৌনে দুই লাখ, যাদের অধিকাংশই অর্ধশিক্ষিত। তারা বলেন, 'আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তা হতে চাই। এছাড়া আইসিটি খাতকে প্রধান্য দিয়ে বেকার সমস্যার সমাধানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।'

হাইওয়ে, ফ্লাইওভার ও ইন্টারচেঞ্জের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের রাস্তাঘাটে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। এছাড়া এ জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নার্সিং কলেজ ও টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি স্থাপন করা হয়েছে।

বিসিক শিল্পপার্ক পূর্ণাঙ্গ রুপ এবং নৌবন্দর স্থাপনের দাবি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের। তারা চান শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মধ্যদিয়ে অনেকাংশে কমানো যাবে বেকার সমস্যা।

সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক জিহাদ আল ইসলাম বলেন, 'ইকোনমিক জোন ও শিল্প পার্ক যত দ্রুত হবে তত তাড়াতাড়ি এ অঞ্চলের মানুষ অর্থনেতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। একইসঙ্গে বিপুল সংখ্যক তরুণ ও শিক্ষিত শ্রেণীর কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া একটি নৌ বন্দর স্থাপন হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবে।'