সোমবার (১৮ মার্চ) বিকালে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটি ও শিশুশ্রম পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে এ. কে. আজাদ শ্রম সংকট নিরসন ও শিশুশ্রম প্রতিরোধে বেশ কিছু সুপারিশ পেশ করেন।
তিনি বলেন, 'আগামী ২০২৬ সালে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরে গ্যাস সংযোগ চালু হবে। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে কলকারখানা গড়ে উঠলে গ্যাসের সঠিক ব্যবহার হবে না। তাই জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যাতে কলকারখানা গড়ে তোলা যায়, এমন একটি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করার জন্য এখন থেকেই উদ্যোগী হতে হবে।'
পদ্মা সেতুকে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়ে এ সংসদ সদস্য বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এই দক্ষিণবঙ্গের জন্য উন্নয়নের দ্বার খুলে দিয়েছেন এই সেতু দিয়ে। আমাদেরকে সেই সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।'
ফরিদপুরের সব শিল্প মালিকদের নিয়ে শিগগিরই সভা করে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন শিল্পকারখানায় বিদ্যমান শ্রম আইন মেনে চলা হচ্ছে কিনা, শ্রমিকরা ন্যায্য বেতন পাচ্ছে কিনা- তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হতে আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক তার সভাপতির বক্তব্য বলেন, 'শুধু শিশুশ্রম বন্ধ করে তাকে কর্মক্ষেত্র থেকে উঠিয়ে আনলেই চলবে না, তার পুনর্বাসন ও লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারি বেসরকারি সবাইকে।'