এখন ভোট
দেশে এখন
0

নিবার্চনে সিলেটবাসীর প্রধান ইস্যু 'উন্নয়ন'

শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরির দাবি

সিলেটের তেল গ্যাস দিয়ে সারাদেশের শিল্পকারখানা সচল থাকলেও সিলেট অঞ্চল সেদিক থেকে অনেক পিছিয়ে। প্রবাসীদের যথেষ্ট অলস টাকা ব্যাংকে থাকলেও শিল্পখাতে বিনিয়োগ শূন্য। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উৎপাদনশীল নতুন খাত তৈরি না হওয়াসহ অঞ্চলের প্রধান সংকট কর্মসংস্থান। সাথে আছে যোগাযোগ ব্যবস্থার আশানুরুপ উন্নতি না হওয়া। আসছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবই এখন আলোচনায়।

সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, সারাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলেও সিলেট ব্যতিক্রম। রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছা আর সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এই অঞ্চলে শিল্প উন্নয়ন নেই বললেই চলে। তাছাড়া পর্যটন শিল্পের ভঙ্গুরাবস্তা দূরীকরণসহ প্রবাসীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে পারলে সচল হবে অর্থনীতির চাকা। পাশাপাশি সংকট দূর হবে কর্মসংস্থানেরও।

সিলেট-১ আসনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে র্নিবাচনে অংশ নিচ্ছেন বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

চাকরি সংকট এলাকার বিশাল সমস্যা, এটা নিয়ে নতুন করে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার দিকে মনোনিবেশ করতে চান তিনি। পাশাপাশি প্রবাসী বিনিয়োগ বাড়াতে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিলেন তিনি। বলেন, আমাদের এই এলাকায় নতুন নতুন শিল্পকারখানা করতে হবে, আর এর জন্য ক্রেডিট বাড়াতে হবে। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমাতে হবে। অন্যদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। এই এলাকায় যে পণ্য তৈরি হবে সেটা চট্টগ্রাম বা পায়রা বন্দরে নিয়ে যেতে হবে।

সিলেট-৩ আসনের ওসমানীনগর, বিশ্বনাথ উপজেলাসহ সিলেট-৫ আসনের কানাইঘাট জকিগঞ্জও অনেকটা উন্নয়ন বঞ্চিত। নাগরিক সুবিধার যেসব কথা বলা হয় তারমধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আর্থিক উন্নয়নে নজর দিতে চান নতুন প্রার্থীরা।

সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, এই এলাকার অনেকে শিল্পকারখানা করতে চাইলেও জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় তা হয়ে ওঠে না। তাই এই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি।

এদিকে কৃষি ও শিক্ষার উন্নয়ন জরুরি বলে মনে করেন সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

সাধারণ মানুষেরও প্রত্যাশা, নির্বাচনে প্রার্থীদের কাজ হবে কল্যাণমুখী, প্রতিশ্রুতি পূরণে তারা হবেন বদ্ধ পরিকর। তাই শুধু মৌখিক উন্নয়ন নয়, বরং উন্নয়নবঞ্চিত মানুষের আশা পূরণের অংশীদার হবে আগামীর জনপ্রতিনিধিরা।