সরকারি তথ্যমতেই যা ২০২২ সালের চেয়ে পাঁচগুণেরও বেশি। এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ।
সাধারণত ডেঙ্গু মৌসুম ধরা হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অথচ এবার নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এসেও থামছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন রোগী ভর্তির সংখ্যা দেড় হাজার। মারাও যাচ্ছে প্রতিদিন ১০ থেকে ২৪ জন পর্যন্ত।
দেশে ২৬ প্রজাতির এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও বর্তমানে ঢাকায় আছে ৭-৮ প্রজাতির। যার মধ্যে এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস অ্যালবোপিকটাস ডেঙ্গুর প্রধান বাহক। বর্ষাকাল এডিসের ডিম পাড়ার জন্য আদর্শ সময় হলেও এখন যেকোন জমা পানিতেই পাওয়া যায় লার্ভা। আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বাড়ায় মশার জীবনচক্র আরও সহজ হয়েছে। সেই সঙ্গে ঝড়-বন্যার কারণে দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থাকছে, যেখানে মশা বংশবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে।
মশা নিয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে গবেষণা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং অন্যান্য উপাদানের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তন এডিস মশার প্রজননের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি তৈরি করছে।
কেবল তাই নয়, ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি থাকলেও এখন রোগী পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে। নগরায়নের ফলে গ্রামও মশাবাহিত রোগের ঝুঁকির বাইরে থাকছে না। নির্মাণাধীন বহুতল ভবন, গাড়ি পরিষ্কারের স্থানে পানি জমে থাকে। এসব জমা পানিও এডিস মশার প্রজননস্থল। এগুলোর সঙ্গে বৃষ্টির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই বৃষ্টির মৌসুম ছাড়াও সহজেই এডিস বংশবিস্তার করতে পারছে।
পৃথিবীব্যাপী মশা নিয়ন্ত্রণই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় হলেও বড় বড় গবেষণা সংস্থা নজর দিয়েছে ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরিতে। এখন পর্যন্ত সানোফি পাস্তুরের তৈরি ডেনভ্যাক্সিয়া ও জাপানের তাকেদা ফাউন্ডেশনের কিউডেঙ্গা ভ্যাকসিন দুটির প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে আইসিডিডিআরবি ও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকেরা টিভি-০০৫ নামক এই টিকার সফল পরীক্ষা করেছেন।