এই খাত থেকে বছরে ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা আয়। তবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোগত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এছাড়া প্রচারণার অভাবে পিছিয়ে পড়ছে সম্ভাবনাময় এই খাত।
নাটোরের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার নাম 'উত্তরা গণভবন'। এই বাসভবনটি ৩০০ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্থাপত্যশৈলী সৌন্দর্যে গড়া। মূল প্রাসাদ, রানী মহল এবং সংগ্রহশালা দেখতে প্রতি বছর ৩ থেকে ৪ লাখ দর্শনার্থী এখানে আসেন।
গণভবন দেখতে আসা দর্শনার্থীর একজন আমিনুল ইসলাম। গণভবনের চারপাশে হেঁটে তিনি মোবাইল ফোনে এর সৌন্দর্য ধারণ করছেন। তিনি বলেন, 'উত্তরা গণভবনে এসে খুব ভালো লাগছে। কিন্তু এখানে আসার পথ মোটেও ভালো লাগেনি।'
পর্যটন শিল্পের আরেক নাম নাটোর রাজবাড়ি বা রানি ভবানীর রাজবাড়ী। এই রাজবাড়ির ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। বছরে এখানে আসেন কয়েক লাখ দর্শনার্থী। তবে দীর্ঘদিনের পুরোনো অবকাঠামো নষ্ট হলেও সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
দর্শনার্থীরা জানান, এই রাজবাড়ীর অবকাঠামোগত সংস্কার বা উন্নয়ন করা হলে দর্শনার্থীদের সংখ্যা আরও বাড়বে। এছাড়া নাটোরে আসলে কক্সবাজারের মতো সৈকতের দেখা পাওয়া যাবে। যা স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। কিন্তু পর্যটনের এত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এখানে হোটেল-মোটেলের মতো কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি।
প্রচার-প্রচারণার দুর্বলতার কথা স্বীকার করে নাটোরের জেলা প্রশাসক স্থানীয়দের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেলার পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরার পাশাপাশি গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ।
জেলা প্রশাসক আবু নাসের বলেন, আমরা এই পর্যটন খাতকে পদ্ধতিগতভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এছাড়া আমরা চাই, সবাই নাটোরের পর্যটন স্থানগুলো প্রচারণার মাধ্যমে তুলে ধরবে।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে পর্যটন খাত থেকে আয়ের অন্তত ৩ শতাংশ জিডিপিতে যোগ হয়। এই খাতে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শক্তিশালী হবে স্থানীয় অর্থনীতি।





