আজ (রোববার, ২৮ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, হাদি হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার এক সহযোগী ময়মনসিংহ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি। তাদের মধ্যে ছয়জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত এই মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হবে। তবে প্রাথমিক তদন্তে এই হত্যাকাণ্ডে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়নি।’
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডে হামলার শিকার হন শরিফ ওসমান হাদি। মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার অজ্ঞাতপরিচয় সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হত্যাচেষ্টা এবং বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে হাদির মৃত্যু হলে গত ২০ ডিসেম্বর আদালতের আদেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়। আদেশটি দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ।





